ট্রেন হলো দেশের মধ্যে ও বাহিরে যাতায়াতের অন্যতম একটি যোগাযোগের বাহন। ট্রেনে করে প্রত্যেকদিন লাখ লাখ মানুষ তাদের গন্তব্যস্থলে যায়। একটি ট্রেন একবারে অনেক যাত্রী বহন করতে পারে। সম্প্রতি জানা গেছে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি ট্রেন যাত্রীবাহী একটি বগি রেখেই চলে গেছে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি চলে যান। ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার মাত্র ১০ মিনিট আগে যাত্রীদের জানানো হয়েছিল যে বগিটি ভেঙে গেছে। ফলে ট্রেনটি ছেড়ে না দিয়েই ছাড়বে। রুবিনা আক্তার তার ছয় মাসের মেয়ে জুনাইরাকে নিয়ে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেসের ‘টি’ বগিতে ওঠেন। প্রচন্ড গরম সহ্য করেও পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে যান; কিন্তু তিনি তার গন্তব্যে যাননি।
কারণ কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনটি তাদের বহনকারী বগি ছেড়ে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায়। সে জানে না বাচ্চা নিয়ে কি করবে। রুবিনা আক্তার বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত চায়। কিন্তু টাকা দিয়ে কি করব। আমি বাচ্চা মেয়ের সাথে কিভাবে যেতে পারি? ‘
রুবিনার মতো দুর্ভোগে পড়েছেন ওই বগির শত শত যাত্রী।
ভুক্তভোগীরা জানান, সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি চলে যান। ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার মাত্র ১০ মিনিট আগে যাত্রীদের জানানো হয়েছিল যে বগিটি ভেঙে গেছে। ফলে ট্রেনটি ছেড়ে না দিয়েই ছাড়বে।
অপর ভুক্তভোগী কমলা বেগম জানান, নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি ট্রেনের ধাক্কায় পড়ে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও ট্রেন ছাড়েনি।
তিনি বলেন, ‘ট্রেন ছাড়ার ১০ মিনিট আগে তিনি বলেন, এই বগি যাবে না। টাকা ফেরত চাচ্ছে। টাকা ফেরত দিয়ে কি করব? ‘
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, “বগির গিয়ারে সমস্যা রয়েছে। চলতে থাকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বগি ছাড়াই ট্রেনটি ছেড়ে গেছে।’
“ক্যারেজে প্রায় ১০৫ জন যাত্রী ছিল,” তিনি বলেন। আমরা তাদের টাকা ফেরত নিতে বলেছি। এই ক্ষেত্রে আমরা বিকল্প বগি সংযুক্ত করি। কিন্তু আজ আমাদের কাছে বিকল্প বগি নেই।
প্রসঙ্গত, সময়মত গন্তব্যস্থলে পৌছাতে না পারা অনেক বড় ধরণের একটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সময়ের কাজ সময়ে না করা গেলে সেই ক্ষতি পূরণ করা পরবর্তীতে খুবই দুষ্কর হয়ে পড়ে। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সবাই ছুটছে বাড়ির দিকে।