সম্প্রতি বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগের রেশ কাটতে না কাটতে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের সৃষ্টি হয়। যার কারনে পৃথিবী ব্যাপি মন্দার তৈরী হয়েছে। যার প্রভাব উন্নতদেশের তুলনায় উন্নয়শীল ও স্বল্পোন্নত দেশের ওপার বেশি প্রভাব পড়েছে। যার মধ্যে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। আর এই সংকট কাটাতে বাংলাদেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি এবং ঋণ নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে জাপান থেকে অর্থাৎ (জাইকা) থেকে ঋণ পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে যা জানালেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ ছাড়াও বাংলাদেশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর কাছে বাজেট সহায়তার অনুরোধ করেছে। ৬০ মিলিয়ন ডলারের এই আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে সরকার আশাবাদী।
চলতি অ/র্থবছরেই এ সহায়তা দি/তে পারবে কি না, তার নি/শ্চয়তা দিতে পারছে না জা/পান। তবে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, বাংলাদেশের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যু/দ্ধের প্রেক্ষাপটে এখন নতুন বৈশ্বিক পরিস্থিতি। অর্থনীতির চলমান অবস্থায় বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে ঋণ সহায়তা চেয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কাছে চাওয়া ৫৫০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে বাজেট সহায়তার জন্য জাইকার কাছে আবেদন করেছে সরকার।
চলতি বছরের ২৫ জুলাই জাইকার প্রেসিডেন্ট আকিহিকো তানাকার সঙ্গে এক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আবারও ৬০ কোটি ডলারের আবেদন করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাইকার নতুন ও বিদায়ী বাংলাদেশ প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপেও একই অনুরোধ করেন। তিনিও এতে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার আশা করেন।
বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগের পর গত দুই অর্থবছরে জাপান বাংলাদেশকে সাড়ে ৬৮ কো/টি ডলার বাজেট সহায়তা দিয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরে সহায়তার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না দেশটি। বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জাপান অবগত আছে বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, সংকটজনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জাইকাসহ কয়েকটি দাতা সংস্থার কাছে বাজেট সহায়তা চেয়েছে; আমরা দেশেটির প্র/য়োজনীয়তা বিবেচনায় রেখেছি। যাইহোক, এই আর্থিক বছরে আমরা সাহায্য করতে পারব কিনা সে বিষয়ে আমরা এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। যদিও আমরা দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছি।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে জাপান সবসময় বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়।
প্রসঙ্গত, জাপানের কাছে যে ঋণ সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেটি দেওয়ার বিষযে সংশয় প্রকাশ করেছে জাপানি রাষ্ট্রদূত। তবে তারা বাংলাদেশের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।