রাজশাহীতে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন হোটেল গ্র্যান্ড নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ২২ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। হোটেলটি শহরের গণকপাড়ায় অবস্থিত। অভিযোগ, এই সাধারণ আবাসিক হোটেলে রুম ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে।
হোটেলটির মালিক তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সুজন। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্বাচনী সমন্বয়ক। সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর পোস্টার ও ফেস্টুন তৈরি করে হোটেলে আনা হয়েছে। অভিযানের সময় এগুলো দেখা যায়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) আরজিনা খাতুন জানান, গণকপাড়ায় অবস্থিত হোটেল গ্র্যান্ডে অভিযান চালানো হয়। হোটেলের কর্মীরা দেখাতে রাজি হননি। বিভিন্ন কক্ষে অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করা হয়। তারা সবাই রাজশাহীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। অভিযানের পর হোটেলের কর্মীরা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আটক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডাকা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থী রাজশাহীর বাইরের। তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন হোস্টেল বা মেসে থাকেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হোটেল মালিককেও ডাকা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে হোটেলটির মালিক আবুল বাশার সুজনের নাম্বারে কয়েকবার কল দেওয়া হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।