ঘটে যাওয়া এই ঘটনটি নিয়ে রিতিমত তোলপাড় চলছে সবখানে। সবাই এই ঘটনায় বেশ অবাক হয়ে আছেন।জানা যায় চলছিল কূপ খননের কাজ, তাও আবার বাড়ির পেছনে। কোদালের কোপে যা বেরোল তার দাম ৮৫০ কোটি টাকা! জিনিসিটি বিশাল একটি পাথরের খণ্ড যা কোনো সাধারণ পাথড় নয়!
বিষয়টি বুঝতে পেরে খবর পাঠানো হয় রত্ন বিশেষজ্ঞদের। তাদের কথায় চোখ কপালে ওঠে সবার। এ তো পাথর নয়। মূল্যবান নীলার বিশাল একটি খণ্ড। বিশ্বে এর আগে এত বড় নীলার সন্ধান মেলেনি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীলঙ্কার রত্নপুরা এলাকার একটি বাড়িতে। সেখানে কূপ খননের সময় মাটি খুঁড়ে সন্ধান পাওয়া নীলার খণ্ডটি ২৫ লাখ ক্যারেটের। কেজির হিসাবে যার ওজন প্রায় ৫১০ কিলোগ্রাম। প্রাথমিকভাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ফ্যাকাশে নীল রঙের এ রত্নের দাম ১০ কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৮৫০ কোটি টাকার বেশি) ছাড়িয়ে যেতে পারে।
নিরাপত্তার স্বার্থে ওই বাড়ির মালিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তিনি জানান, রত্নখণ্ডটির উপরিভাগ থেকে কাদা ও ময়লা পরিষ্কার করতে এক বছর লেগে যেতে পারে। এরপরই মূল্যবান রত্নটির স্বীকৃতির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শ্রীলঙ্কার অর্থনিতীর অন্যতম বড় একটি মাধ্যম এই রত্নপাথর। এই রত্নপাথর রপ্তানি করেই এই দেশটি বেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে সচল হয়ে থাকে। জানা গেছে রত্ন উত্তোলন ও এর ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত রত্নপুরা এলাকা। সিংহলি ভাষায় রত্নপুরা মানে হলো যেখানে মূল্যবান রত্নপাথর বিক্রি করা হয়। সন্ধান পাওয়া নীলাটির বিষয়ে রত্নপাথর বিশেষজ্ঞ জামিনি জয়সা বলেন, ‘আমি এর আগে এত বড় নীলা দেখিনি। প্রায় ৪০ কোটি বছর আগে রত্নখণ্ডটি তৈরি হয়ে থাকতে পারে।’