বগুড়া জেলার একটি এলাকায় এক ছাত্রীর সাথে খারাপ কাজ করার অভিযোগে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষক জিন্নাতুল ইসলাম প্রামানিক যিনি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বগুড়া নগর এলাকার সূত্রাপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় কলেজ শিক্ষকের এই ধরনের কর্মকান্ডের জন্য আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
গ্রেফতারকৃত শিক্ষক জিন্নাতুল ইসলাম প্রামানিক আজিজুল হক কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ৩-৪ বছর আগে প্রাইভেট পড়ার মাধ্যমে শিক্ষক জিন্নাতুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে জিন্নাতুল ওই ছাত্রীকে প্রতা”রণা করে শারী”রিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে।
এছাড়া ওই শিক্ষক জিন্নাতুল শিক্ষার্থীর পোশাক ছাড়া ছবি ও ভিডিও ধারণ করে শারী’রিক ও মানসিক নি’/র্যা”তনের হু’মকি দিয়ে কয়েকবার ছাত্রীর সাথে শারীরি”ক কাজ করতে বাধ্য করেন।
১০ অক্টোবর তার বাড়িতে শিক্ষক তাকে সর্বশেষ খারাপ কাজ করে। ছাত্রীটি সন্তান সম্ভবা হলে ৩১ অক্টোবর স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় বসে অনাগত সন্তানকে ফেলে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয় এবং তাকে মা”রধর করে।
পরে মঙ্গলবার সকালে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে শিক্ষক জিন্নাতুন ইসলামকে আসামি করে বগুড়া সদর থানায় একটি জোর করে খারাপ কাজ করার সম্পর্কিত মামলা দায়ের করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় শিক্ষক জিন্নাতুলকে আটক করে পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম জানান, ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে থানায় নারী সংশ্লিষ্ট মামলা করেছেন। ওই মামলায় আসামি জিন্নাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার অর্থাৎ ২ নভেম্বর তাকে আদালতে নেওয়া হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এদিকে ওই শিক্ষার্থীর মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হবে বলে জানানো হয়। যেহেতু তিনি ঐ শিক্ষককে পছন্দ করেন এবং দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক তাই তাকে বিয়ে করার জন্য সিদ্ধান্ত নিবে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন হলে ঐ ছাত্রী কিছু জানাননি।