এস আলম পরিবার, বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের সব থেকে আলোচিত একটি পরিবারের নাম। এই পরিবারটি বাংলাদেশের ব্যাংক দুর্নীতির জগতের সেরা একটি পরিবার। সম্প্রতি এ নিয়ে এবার একটি লেখনী লিখেছেন বাংলাদেশের জার্নালিস্ট জুলকারনাইন সায়ের। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
এটি একটি আদর্শ পরিবারের ছবি, বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারের উচিত এই আদর্শ পরিবারটির পদাঙ্ক অনুসরন করা, তবেই আসবে সফলতা। পরিবারের সকল সদস্যদের দেখুন, কি সাধারন তাদের বেশভূষা, কিন্তু কি অসাধারন তাদের কাজ। সুবাহান আল্লাহ!
পরিবারটি এতই আদর্শ যে পুরো একটি ব্যাংক তারা এক সন্ধ্যায় হাপিস করে দিয়েছিলো, যে সে ব্যাংক নয়, দেশের সেরা বেসরকারী ব্যাংক বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক লিঃ। ভাবতে পারেন, কতটা ধর্ম প্রেমি হলে, দেওয়ানা হয়ে রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে ব্যাংকটাই নিজেদের নামে লিখিয়ে নিতে পারে?
আর তাদের এই আদর্শ রুপ দেখে বাংলাদেশ সরকার এতই বিমোহিত যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্বই মাফ করে দেয়! কি করা বলুন, পরিবারটি তো বিদেশে দেশের নাম উজ্জ্বল করছে!
সিংগাপুর-মালয়েশিয়াতে ৫টি আন্তর্জাতিক মানের হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করছে, পাশাপাশি অনেক সদস্যদেরই সাইপ্রাসের পাসপোর্টও কিনতে হয়েছে। তাই সরকার যদি একটু রাজস্ব মওকুফ না করে, তাহলে কি সেটা মানায়? সাইপ্রাস পাসপোর্টের দাম আবার একটু বেশী কিনা! প্রতি পাসপোর্ট মাত্র বিশ কোটি টাকা। (আদর্শ পরিবার যেহেতু, সেহেতু কিভাবে টাকা বিদেশে নিয়ে গেলো সে প্রশ্ন করে এনাদের মোটেও বিব্রত করা যাবেনা, এতে রাষ্ট্র নাখোশ হতে পারেন হুমম)
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার এই আদর্শ পরিবারটি এতই স্বচ্ছ যে বিদেশের এতসব সম্পদে যেন কেউ নজর লাগাতে না পারে তার জন্যে সুদূর ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যানড আর জার্সি তে অফশোর কোম্পানি আর ট্রাস্টই খুলে ফেলেছে, যা দেশের অন্যান্য আদর্শ পরিবারের জন্যেও অবশ্য অনুকরনীয়, তা না হলে দুষ্টু লোকদের হাতে ইজ্জত হারাতে হতে পারে।
আর এতসব ব্যস্ততা সত্বেও আদর্শ পরিবারটি প্রতিমাসেই ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র নগরী মক্কা-মদিনায় ভ্রমন করে থাকেন। মাশাআল্লাহ!
ফটো কৃতজ্ঞতাঃ আদর্শ পরিবারের জনৈক সদস্যের ফেসবুক।
প্রসঙ্গত, এ দিকে এই এস আলম এখন রয়েছেন বাংলাদেশের ধরা ছোয়ার বাইরে।ইসলামী ব্যাংক এর শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে পুরো পরিবারটি। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে দেশের সরকার।