ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান করার পক্ষে বিপক্ষে মতামত জানার জন্য নির্বাচন কমিশন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বৈঠক আহ্বান জানিয়ে মতামত নিয়েছে। যাতে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহন বাতিলের পক্ষে মতামত দিয়েছে। তবে তা সত্বেও নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহনের কথা বলেছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এক প্রতীকে ভোট দিলে অন্য প্রতীকে যায় তা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। আমরা প্রমাণ দিতে বলেছি। এটা প্রমাণিত হলে দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট নাও হতে পারে।
রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বর্তমান কমিশনের মূল লক্ষ্য। তবে কেউ নির্বাচনে আসা বা না আসা এবং ভোট দান করা বা বিরত থাকা এটি তার অধিকার। তবে এই নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সঠিক ভোটার তালিকার কোনো বিকল্প নেই। এর ওপর নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাও অনেকাংশে নির্ভর করে। প্রার্থী ও ভোটাররাই ভোটের প্রাণ।
প্রতিবছর অনেকে ভোট দেয়ার যোগ্য হয় ওঠেন, কারণ তাদের বয়স ১৮ বছর পেরিয়ে যায়। এ সকল নতুন ভোটারদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করতে হবে এবং সেটার জন্য প্রচারণা অবশ্যই দরকার। তাই যারা এই কাজে নিযুক্ত হন তাদেরকে গাইড করা দরকার, যাতে করে তারা নতুন ভোটারের তথ্য উপাত্ত সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ ও তালিকাভুক্ত করতে পারে।