বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি আজ (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে। আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন, বুধবারের মধ্যে এটি একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ডানা ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়তে পারে। ওইসব এলাকায় বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। পুরী শহরে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৪ ও ২৫ অক্টোবর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে ওড়িশার পুরী, গঞ্জাম, জগৎসিংহপুর এবং ভদ্রক জেলায়। গোপালপুর, পারাদ্বীপ এবং ধর্ম পোর্টে ‘ডেঞ্জার সিগনাল-১’ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত রিলিফ কমিশনার পদ্মনাভ বেহারা। তিনি এক চিঠিতে এ সতর্কতাকে “অত্যন্ত জরুরি” বলে উল্লেখ করেছেন।
ওড়িশার স্পেশাল রিলিফ কমিশনার ডিকে সিং ১৪টি জেলার স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুধবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর, ভদ্রক, বালেশ্বরসহ আরও কয়েকটি জেলায় এই সতর্কতা বলবৎ থাকবে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে এবং এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি পারাদ্বীপ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এবং এটি আগামী ২৩ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ২৪ অক্টোবর রাতে এটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের এই তাণ্ডবের কারণে বিশেষ সতর্কতা এবং প্রস্তুতি নিচ্ছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলো।