পুলিশ, যার কাজ আইনের রক্ষা করা। যিনি নিজেই একজন আইনের রক্ষক। কিন্তু আমরা বিভিন্ন জায়গাতেই দেখি এই পুলিশের দ্বারাই অনেক সময় আইন ভঙ্গ হয়। ঘুষ নেওয়া একটা অপরাধ, কিন্তু এই ঘুষ পুলিশকেও নিতে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গাতে। তবে এমন কি শুনেছেন ঘুষ নিয়ে সেটা আবার বক্তৃতার মাধ্যমে তুলে ধরতে কোন পুলিশকে? সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতে।
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অনেক পুরোনো। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এখন ঘুষ নেয়ার অনেক প্রমাণ সামনে এসেছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তার নিজের মুখে ঘুষ গ্রহণের বিষয় স্বীকার করা একেবারেই নতুন। ভারতের উত্তর প্রদেশ পুলিশের কর্মকর্তা উমেশ ত্রিপাঠী ঘুষ নিলেও সৎ কাজ করেন বলে উল্লেখ করেছেন। তার সেই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, উমেশ ত্রিপাঠী বলেন, ঘুষ নিলেও সততার সাথে নিজের কাজটি করেন। কিন্তু অন্যরা তা-ও করে না। পুলিশের পোশাক পরে এক অনুষ্ঠানে এভাবেই ঘুষ নেয়ার কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন তিনি।
ওই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর উমেশ ত্রিপাঠীকে বরখাস্ত করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। স্কুলের এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সামনে দেয়া বক্তব্যে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের টাকা নেয়া নিয়ে দুর্নাম রয়েছে। কিন্তু এটা ঠিক যে, আমরা যেমন টাকা নিই, তেমনই সাথে সাথে কাজটাও করি। সেদিক দিয়ে আমরা সৎ।
আরও পড়ুন: স্বামীদের সময়ের অভাব, তাই রাজমিস্ত্রিদের সাথে পালান ২ জা
তিনি আরও বলেন, আমরা তো তাও টাকা নিয়ে নিষ্ঠার সাথে কাজটা করে দিই। অন্য বহু কাজে তো টাকা দিয়েও কোনো কর্তব্য পালন করা হয় না। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার এমন মন্তব্যের পর বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।
ঘুষ নেন কিন্তু আইনের রক্ষক হিসাবে তার মাথায় কখনো এলো না ঘুষ নেওয়াটাই সব থেকে বড় অপরাধ। এবার বোঝো ঠেলা, নিজের কথার জালে নিজেই ফেঁসে গেল। বরখাস্ত হয়ে যাওয়ার পরে উমেশ ত্রিপাঠীর মুখ থেকে অবশ্য এখনো পর্যন্ত কিছু শোনা যায়নি। অবাক করা ব্যাপার এইটা যে সে ঘুষ নিয়ে কিভাবে সৎ থাকে। তবে অপরাধ করলে যে সাজা পেতে হবে, সেটা তিনি খুব ভালো করেই বুঝে গেলেন। হয়ত এমন ঘটনা বাকি পুলিশদের সৎ থাকার জন্য সতর্ক রাখবে।