চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের এক কিলোমিটার এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মিনিবাসের ১১ যাত্রীর প্রয়ানের ঘটনায় প্রয়াত ব্যাক্তিদের এলাকায় শোকের ছায়া পরেছে। চলছে স্বজনদের ভিতরে শোকের মাতাম। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের আমানবাজারের পূর্ব পাশে খন্দকিয়া গ্রামে। ১১ কিশোর ও যুবকের প্রয়ানে পুরো শহর স্তব্ধ হয়ে রয়েছে।
চট্টগ্রামের মিরসরাই দুর্ঘটনায় প্রয়াত ১১ জনের নিথরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে রেলওয়ে পুলিশ। শুক্রবার রাতে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। রেলওয়ে পুলিশের এসপি হাসান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিথরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে বড়তাকিয়া ট্রেন স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেনের সঙ্গে পর্যটক বহনকারী মিনিবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মিনিবাসের ১১ যাত্রী প্রয়াত হন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা সবাই হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকায় আরএন্ডজে প্রাইভেট কেয়ার নামের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থী। শুক্রবার সকালে ছাত্র-শিক্ষকসহ ১৭ জন খৈয়াছড়া জলপ্রপাত দেখতে যান।
সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রয়াতরা হলেন- জিয়াউল হক সজীব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের চার শিক্ষক ওয়াহিদুল আলম জিসান, মোস্তফা মাসুদ রাকিব ও রেদওয়ান চৌধুরী এবং শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান, মোছাব আহমেদ হিশাম, সাগর, ইকবাল হোসেন মারুফ, তাসমীর হাসান ও সাজ্জাদ। মিনিবাস চালক গোলাম মোস্তফা নিরুও প্রয়াত হন। আহতরা হলেন মিনিবাসের হেলপার তৌকিদ ইবনে শাওন, মোঃ মাহিমের ছাত্র, তানভীর হাসান হৃদয়, মেরিল্যান্ড। সৈকত ইমন, তাছমির পাবেল এ ঘটনার পর ওই এলাকায় দায়িত্বরত দারোয়ান মো. সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জনের প্রয়ানের ঘটনায় খৈয়াছড়া রেলওয়ে জংশনের পোর্টার সাদ্দামকে আটক করেছে পুলিশ। ২৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে রেলক্রসিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করার বিষয়টি জানা গেছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের ওসি নাজিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।