ঘুমের ঘোরে কথা বলো অনেক মানুষেরই বদ অভ্যাস। ঘুমের ভিতর অনেকেরই দেখা যায় এমনটা, কিন্তু এই অভ্যাসও হতে পারে কাল। ঘুমের ঘোরে যারা কথা বলে সে নিজেই জানে না নিজে কি বলছে। অনেক সময়ই দেখা যায় মুখ দিয়ে বেফাস অনেক সত্য কথা গোপন কথা বেরিয়ে আসে। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনায় পুলিশের হাতে পড়তে হলো এক স্ত্রীকে, পুলিশের হাতে তুলে দিলেন নিজের স্বামীই।
কেউ জানত না যে ঘুমানো এবং বিড়বিড় করার অভ্যাসও বিপদ ডেকে আনতে পারে। ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডের লিভারপুলে। সেই শহরের বাসিন্দা রুথ ফোর্টেরও ঘুম ও বিড়বিড় করার একটা ক্রেজ ছিল। আর এই বিড়বিড় করে নিজের অজান্তেই বলে দিলেন তার সব অপকর্ম। আর সেই ঘটনাই কাল হয়ে দাঁড়াল তার জীবনে।
ডেইলি মেইল জানায় যে রুথ ফোর্টের স্বামী অ্যান্টনি ফোর্ট শুয়ে পড়েন এবং শোনেন। এ নিয়ে তার মনে সন্দেহ জাগে, ঘুমের মধ্যে স্ত্রী সবটা বলে দিতেই নিশ্চিত হয়ে যান তিনি। এরপর স্থানীয় থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অ্যান্টনি। তিনি পুলিশকে জানান, লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়ার পর তাদের বিয়ে হয়। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। তারা উভয়ই তাদের আত্মবিশ্বাসের সাথে মোকাবিলা করে যখন তারা তাদের খেলার কার্যক্রম শুরু করতে বেছে নেয়।
কিছুদিন আগে তার স্ত্রী রুথ কেয়ারটেকারের চাকরি পেয়েছেন। তাকে একজন অসুস্থ বৃদ্ধার দেখাশোনা করতে হয়েছিল। অসুস্থ মহিলা সবসময় হুইলচেয়ারে থাকেন। তিনি রুথকেও বিশ্বাস করেছিলেন। সেই বিশ্বাস এবং অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে, রুথ তার ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি করে।
অ্যান্টনি পুলিশকে আরও জানিয়েছে যে তারা কয়েক দিন আগে মেক্সিকোতে ছুটিতে গিয়েছিল। রুথ সেখানে এত টাকা খরচ করছিলেন, যা অ্যান্টনিকে সন্দেহ করেছিল। টাকা কোথা থেকে পেয়েছেন জানতে চাইলে রুথ বলেন, তার আত্মীয়রা টাকা পাঠিয়েছে। কিন্তু তারপরও অ্যান্টনির সন্দেহ কাটেনি। একদিন তিনি স্ত্রীর ব্যাগে একটি অজানা এটিএম কার্ডও দেখতে পান। সে পুলিশকে জানায় তার স্ত্রী মোট সাত হাজার ৬০০ ডলার চুরি করেছে।
শুনতে কিছুটা মজার ব্যাপার মনে হলেও ঘটনাটা সত্য। তবে এ ব্যাপারে পরবর্তীতে পুলিশ কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা সে ব্যাপারে কোন খবর এখনও পাওয়া যায়নি। স্বামীর সোনা কথাগুলোর তদন্ত হয়ে সেটা আদৌ সত্য না মিথ্যা সে ব্যাপারেও কোন খবর এখনও পাওয়া যায়নি।