একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সভাপতি ও প্রখ্যাত লেখক-গবেষক শাহরিয়ার কবিরকে আটক করেছে বনানী থানা পুলিশ। সোমবার রাতে, রাজধানীর বনানী এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনার পরপরই রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
শাহরিয়ার কবির দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। তার নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তবে তাকে হঠাৎ আটকের কারণ সম্পর্কে এখনও কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি পুলিশ।
শাহরিয়ার কবিরের আটকের খবরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
বনানী থানা পুলিশ জানিয়েছে, শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। শাহরিয়ার কবিরের আটকের প্রকৃত কারণ ও এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা জানতে সকলেই অপেক্ষা করছে।
–>>আটকের কারণ কী?
শাহরিয়ার কবিরের আটকের কারণ সম্পর্কে এখনো নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, ফলে আটকের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি কোনো রাজনৈতিক কারণে হতে পারে, বিশেষ করে তার সক্রিয় ভূমিকা ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কার্যক্রমের কারণে।
আটকের পর বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন চলছে, এবং অনেকে মনে করছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে তার অবস্থানের কারণে হয়তো তাকে টার্গেট করা হতে পারে। তবুও, সঠিক কারণ জানতে অপেক্ষা করতে হবে পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের জন্য।