চুরি করতে তো মানুষকে অনেক কিছুই দেখা যায়। অনেকে চুরি করে পেটের দায়ে,অনেকে পেশা হিসাবে। চোরেরও আছে আবার বিভিন্ন ধরন। কেউবা ছুটকা চোর কেওবা বড়সড় চোর। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, পরিবহন এমনকি ব্যাংক চুরি হতে দেখা যায় প্রায়ই। কিন্তূ এমনকি শুনেছেন বিমান নয়, বিমানের চাকা চুরি! হ্যা এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশে। তাও আবার যুদ্ধ বিমানের চাকা চুরি।
উত্তরপ্রদেশ রাজ্য থেকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান মিরাজের চাকা চুরি হয়েছে। এ ঘটনা এখন রাজ্যটির প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে লখনউয়ের বিকেটি এলাকায়।
পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, একটি ট্রেলারে করে রাজস্থানের যোধপুরের ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে মিরাজ যুদ্ধবিমানের পাঁচটি টায়ার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
সেই যাত্রার মাঝপথেই একটি টায়ার চুরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে হইচই শুরু হয়ে গেছে।
ট্রেলারের চালক হেম সিংহ রাওয়াতের দাবি, উত্তরপ্রদেশে আশিয়ানা থানা এলাকায় তিনি প্রচণ্ড যানজটের মধ্যে পড়েন। ওই এলাকায় একটি হোটেলের পাশে কালো রঙের একটি স্করপিও গাড়ি দাঁড়ানো ছিল।
ওই স্করপিও গাড়ি থেকে দু’জন নেমে ট্রেলার থেকে বিমানের চাকা চুরি করে নিয়ে পালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি চোখে পড়তেই তিনি চোরদের ধরার চেষ্টা করেন, কিন্তু যানজটের সুযোগ নিয়ে চোরেরা পালায়।
ট্রেলার চালক আরো বলেন, এ ঘটনার পরই পুলিশ কন্ট্রোল রুমে বিষয়টি জানান। একটি মামলাও করেন তিনি। ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি তদন্তকারী দল বিকেটি বিমান ঘাঁটি থেকে চুরির ঘটনাস্থল পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে।
এদিকে চালকের জিজ্ঞাসাবাদও জারি রেখেছেন তদন্তকারীরা। কেন যুদ্ধবিমানের চাকা চুরি করা হলো তা নিয়ে বিভিন্ন শঙ্কা রয়েছে। এ ঘটনায় গভীর কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। এ ঘটনার কোনো কূল কিনারা এখনো করতে পারেনি পুলিশ।
কল্পনার বাইরে একটি চুরির ঘটনা এটা। কে বা কারা করল এমন কাজ এখনো জানা যয়নি। কেনইবা করল এর সব উত্তর পাওয়া যাবে হয়তো-বা তদন্ত শেষে। নিত্যনতুন মানুষের চাহিদা পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তূ এ কেমন চাহিদা! বিমান রেখে বিমানের চাকা চুরি! বিস্মিত সবাই। সেই সাথে চিন্তিত। হতে পারে বৃহৎ কোন ষড়যন্ত্র।