স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক হলো পৃথিবীর সবথেকে মধুর সম্পর্ক। এই সম্পর্ক হলো চিরদিনের। নিজ পরিবার ছেড়ে একটা মেয়ে তার স্বামীর ঘরে আসে মনে অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে। তবে সেই স্বপ্ন অনেকের হয় না পূরণ, টার আগেই তবে শেষ হয়ে যায়। সমাজে কিছু নরপশু আছে যারা নারীদের স্ত্রী হিসেবে বরণ করে পরবর্তীতে ঘটায় খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সম্প্রতি ঘটে গেল ঠিক তেমনি একটি ঘৃণ্য ঘটনা। জানা যায় স্ত্রীর মরদেহ খাটের নিচে রেখে ওপরে বসেছিলেন স্বামী।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পূর্ব বাদুরতলা গ্রামে স্ত্রী শারমিনকে প্রাণনাশ করে নিথরদেহ বিছানার নিচে ফেলে গেছে স্বামী। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাকে আটক করে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার নৈকাঠি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রয়াত শারমিন ঝালকাঠি সদর উপজেলার শচিলাপুর গ্রামের মনির খানের মেয়ে। গ্রেফতারকৃত হাসান রাজাপুর উপজেলার পূর্ব বাদুরতলা গ্রামের মিলবাড়ী এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাহারুল মিয়া জানান, রোববার দুপুর ২টার পর হাসানের ছোট ভাই রমজান (৮) ঘরে ঢুকে হাসানকে বিছানায় একা বসে থাকতে দেখে। এ সময় শারমিন বিছানার নিচে চাদর মুচড়ে ঘুমাচ্ছে। এ ঘটনা দেখে রমজান এসে আমাকে জানায়। পরে হাসান বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় হাসানের কক্ষে স্ত্রীর নিথরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেই।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, রোববার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে শারমিনের নিথরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার স্বামী রিকশাচালক হাসানকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার স্ত্রীকে প্রাণনাশের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
তিনি আরও জানান, রোববার দুপুরে প্রয়াত শারমিনের নিথরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে হাসানের নামে একটি প্রাণনাশ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মানুষ যে কত বড় খারাপ হতে পারে সেটা এই লোকটির অপকর্ম দেখলেই বুজা যায়। নিজের স্ত্রীকে প্রাণনাশ করে চাদরে মুড়িয়ে রেখে দেয় খাটের নিচে এবং সে ঐ খাটের উপরের বসে থেকে। কতটা পাষন্ড হলে একজন মানুষ করতে পারে এমন নৃশংস প্রাণনাশ। জানা গিয়েছে ঐ ব্যক্তি পালিয়ে যাবার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করেছে।