শরীয়তপুরের ডামুড্যায় বিয়ের দাবিতে আক্তার হোসেন নামে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বাড়িতে ঘর তুলেছেন এক নারী (৩৪)। এ ঘটনার পর আক্তার হোসেন পলাতক রয়েছে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ওই নারী উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের চরপাতালিয়া এলাকার ৫৫ নম্বর বাহেরচর হাওলাদারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আক্তার হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী।
জানা গেছে, স্কুল শিক্ষক আক্তার হোসেন ও ওই নারী উদ্বিগ্ন। আট মাস ধরে তাদের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক চলে আসছে। পরে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। তবে ওই নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি বাড়িতে এসে থেকে যান।
ভিকটিম জানায়, তার স্বামী বিদেশে থাকে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার অজুহাতে প্রায়ই বাড়ি যেতেন আক্তার। একপর্যায়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আক্তার হোসেন।শারীরিক সম্পর্কের ওই ভিডিও ধারণা করে প্রায়ই তাকে ব্ল্যাকমেইল করে বাড়িতে নিয়ে যেতেন তিনি।একপর্যায়ে আক্তার হোসেন তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ঢাকায় তার ভাইয়ের বাড়িতে রেখে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে ওই নারীর স্বামী তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। এরপর থেকে আক্তার হোসেন তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলে নির্যাতিতা ওই নারীকে তার বাড়িতে থাকতে বাধ্য করা হয়। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন ওই নারী।
স্কুল শিক্ষক আক্তার হোসেনের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে নেই। আমি এমনকি কোথায় জানি না. আমি তাদের সম্পর্কে কিছুই জানি না। হঠাৎ এই মেয়েটি আমাদের বাড়িতে এসে অবস্থান নিল।
বাহেরচর হাওলাদারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বশির আহমেদ বলেন, আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের ছুটি নিয়েছেন। এরপর তিনি আর স্কুলে আসেননি। পরে শিক্ষা অফিস থেকে জানতে পারি তিনি ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন।
ধানকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা রতন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা সালিশ-বৈঠকে বসেছিলাম। তবে ছেলে বিয়েতে রাজি নয় বলে কোনো সমাধানে আসতে পারিনি।’