ক্ষমতার জেরে অনেক মানুষ জড়িয়ে পড়ে নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে। বিপুল পরিমাণ সম্পদ বা রাজনীতি পাওয়ার থাকলেই অপরাধীরা যেন আইনের পাশ কাটিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সম্প্রতি এমনি এক ক্ষমতাসীন ব্যক্তির কথা সংবাদ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনা সূত্র জানা যায়, গোপালগঞ্জের ( Gopalganj ) কোটালীপাড়ায় বিএনপির ( BNP ) এক নেতার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় কয়েকজন নারীকে মারধর করা হয়। আহত এক মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার ২৯ মে ( May ) রাতে উপজেলার পিঞ্জুরী ( Cage ) ইউনিয়নের চিৎশি গ্রামে ( May ) এ ঘটনা ঘটে।অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আবুল বাশার বাচ্চু ( Baby ) উপজেলার চিৎশী গ্রামে ( May )র মৃত বারেক হাওলাদারের ( Barek Hawladar ) ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির ( BNP ) আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
স্থানীয় ও বিক্ষুব্ধ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই গ্রামে ( May )র একরাম মুন্সির ( Ekram Munsir ) সঙ্গে বিএনপি নেতা আবুল বাশার বাচ্চু ( Baby )র ( Abul Bashar Bachchur ) দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে রোববার রাতে বাচ্চু ও তার লোকজন একরাম মুন্সীর বাড়িতে হা/ মলা চালায়। বাড়ির মহিলারা বাধা দিতে এলে তাদের মারধর করা হয়।
মারধরে একরাম মুন্সীর পুত্রবধূ নাদিরা বেগম (২৫)সহ তিন নারী আ/ হত হয়েছেন। আহত নাদিরা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন নাদিরা বেগম বলেন, এলাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে আমার শ্বশুর একরাম মুন্সীর সঙ্গে বিএনপি নেতা আবুল বাশার বাচ্চুর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার রাতে আমার শ্বশুর এবং তার ছেলেরা বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় আবুল বাশার বাচ্চুর বাড়িতে লোকজন নিয়ে হা/মলা চালায় এবং আমাদের মা/ রধর করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা আবুল বাশার বাচ্চু বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই। কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, নাদিরা বেগম বাদী হয়ে আবুল বাশার বাচ্চুসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ বলছে প্রথমত আমরা এলাকাবাসির কাছে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। অপরাধ প্রমানিত হলে অবশ্যই তাদরে বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবো আমরা। এই ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।