নারায়ণগঞ্জে মা-ছেলেকে গলা কেটে প্রাণনাশ করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার উপজেলার ব্রাম্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোবিন্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, রাতের কোনো এক সময় প্রাণনাশকারীরা তাদের বাড়িতেই তাদের প্রাণনাশ করে পালিয়ে গেছে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাড়ির ভেতরে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার সকালে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজিন গোবিন্দী পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, রাতের কোনো এক সময় খুনিরা গলা কেটে পালিয়ে যায়। প্রয়াতরা হলেন প্রয়াত আউয়ালের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৪০) ও তার একমাত্র ছেলে তালহা (৬)। সে মনোহরদী মডেল কিন্ডারগার্টেনে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। রাজিয়া সুলতানার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম জানান, ১০ বছর আগে উজিন গোবিন্দ পশ্চিম পাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আউয়ালের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। পাঁচ বছর আগে হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আমার শ্যালক আউয়াল প্রয়াত হন।
টিনশেড ভবনে ছেলে তালহাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকেন রাজিয়া। মফিজুল ও তার বোন ফারহানা আক্তার সংসার চালাতেন। রবিবার তিথির বোনের বাড়ি থেকে ফোন আসে। রাজিয়ার বাসায় বড় সমস্যা ছিল, তাড়াতাড়ি যেতে। তিনি গিয়ে দেখেন আলাদা ঘরে বিছানায় তার বোন ও ভাগ্নের নিথর দেহ পড়ে আছে। বোন ও ভাতিজার মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল কিনা সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে তিনি পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। লেখার সময় নিথরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছিল। কর্তব্যরত ওসি বলেন, ঘরের কলাপসিবল গেট বা ভাঙা জানালা-দরজা কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে পূর্বাঞ্চলের কেউ এ নিথরকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে প্রয়ানের সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ এসে নিথরদেহ উদ্ধার করে। প্রয়াতদের পরিচিত কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রয়ানের সঠিক কারণ এখন বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।