স্বামী স্ত্রী একসাথে ঘুমিয়েছিলেন, হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠে দেখেন স্ত্রী পাশে নেই। লাইট জ্বালাতেই নিজের অবস্থা দেখে রীতিমত ভয় পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন ভুক্তভোগী স্বামী। তিনি হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পরে লক্ষ্য করেন যে তার বিশেষাঙ্গ থেকে রক্ত বের হচ্ছে। সেটা দেখেই সে ভয় পেয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ব্লেড দিয়ে ঘুমন্ত স্বামীর বিশেষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আসামি নাদিয়া ইশরাত শীলাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে নাদিয়ার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। নাদিয়া শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নাওডোবা এলাকার ইউসুফ মোল্লার মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজির সিআই খোলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, নাদিয়ার স্বামীর হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। সেই মুহুর্তে, তিনি দেখতে পান আর্দ্র ফুসফুস এবং লিঙ্গ থেকে রক্ত বের হচ্ছে। এছাড়াও বিছানায় স্ত্রী নেই। একপর্যায়ে ঘরের বাতি জ্বালিয়ে কাটা পুরুষাঙ্গ দেখতে পান। পরে তার চিৎকারে পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়ারা ছুটে আসে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) হাসপাতালে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে নাদিয়াকে ধরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। নাদিয়া জানান, রাগের বশে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলে গুরুতর জখম করেন তিনি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় নাদিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পরে ভুক্তভোগী স্বামী উঠে দেখে পাশে তার স্ত্রী নেই। ভুক্তভোগী তখন লাইট জালিয়ে দেখেন যে তার বিশাষাঙ্গ কাটা অবস্থায় পরে আছে। এই দৃশ্য দেখে সে চিৎকার করে উঠলে ঘটনাস্থলে পাশের বাড়ির লোকজন তাকে এসে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিয়ে ভুক্তভোগীর মায়ে করা অভিযোগের ভিত্ত্বিতে অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।