বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন ফারদিন নূর পরশ। ২৪ বছর বয়সী ফারদিনকে হ”/ত্যার পর তার নিথর দেহ কে বা কারা শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। ফারদিনকে সুপরিকল্পিতভাবে খু”/ন করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে কয়েকজন মিলে নিথর করার পর তার দেহটিকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার সাথে ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ঘুরে বেড়িয়েছিলেন ফারদিন। এ হ”/ত্যাকা’ণ্ডের পেছনে তার বান্ধবী বুশরার ইন্ধন রয়েছে।
রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিনের দায়ের করা অভিযোগে এসব কথা বলা হয়েছে।
ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে বুশরাসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হ”/ত্যা ও ফারদিনের নিথর দেহ গুম করার অভিযোগে মাম’লা করেন। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে রামপুরার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শনিবার (৫ নভেম্বর) থেকে নিখোঁজ ছিলেন বুয়েটের ছাত্র ফারদিন। ওই দিনই তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নিখোঁজের দুই দিন পর গত সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পাশের নিথর দেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
ফারদিনের ম”রদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বুশরা ও শীর্ষ সংশপ্ত নামে ফারদিনের দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। বান্ধবী বুশরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বিজনেস পত্রিকা ‘দ্য রিভারাইন’-এর সম্পাদক ও প্রকাশক। ৪৫ বছর ধরে তিনি সাংবাদিকতা করছেন। ফারদিনের মা ফারহানা ইয়াসমিন একজন গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার নয়ামাটি। তিন ভাইয়ের মধ্যে ফারদিন ছিলেন সবার বড়। তার বড় ভাই আবদুল্লাহ নূর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। ছোট ভাই তামিম নূর এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
এদিকে ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ, এলিট ফোর্স র্যাব, সিআইডিসহ একাধিক ইউনিট। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকার শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফারদিনের শেষ অবস্থান শনাক্ত করতেও কাজ করছে পুলিশ।
গত 8 নভেম্বর মঙ্গলবার ফারদিনের নিথর দেহ সন্ধ্যায় তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ফতুল্লার দেউলপাড়া নামক এলাকার কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়। মেধাবী ছাত্র ফারদিনের এ ধরনের ঘটনার পিছনে দায়ীদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী এবং তার স্বজনেরা। তার সহপাঠীরা এধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে অপরাধীদের বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।