প্রেমের কারনে অনেক সময় প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে সারা জীবনের জন্য আপন করে পেতে অনেক সময় অসাধ্য সাধন করতে পিছপা হন না। নিজেদের মান সম্মানের পরোয়া না করে তাদের কেউ কেউ অন্যের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে থাকেন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা। পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলাধীন একটি গ্রামে তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নে বিয়ের দাবিতে অবস্থানের ১৪ দিন পর প্রেমিককে বিয়ে করেছে এক কলেজছাত্রী।
রোববার (২২ জানুয়ারি) আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব জলিশা গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে এ বিয়ের আয়োজন করা হয়।
মনি আক্তার (১৯) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। রিয়াজুল ইসলাম রাব্বি (২৬) দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব জলিশা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে মনির সঙ্গে রাব্বির পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক কাজে লিপ্ত হয় রাব্বি। বিষয়টি জানাজানি হলে কয়েকদিন আগে দুই পরিবারের দেখা হয়।
এদিকে প্রেমিক রাব্বি সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তিনি মনির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় গত ৭ জানুয়ারি বিকেল থেকে প্রেমিকা মনি বিয়ের দাবিতে রাব্বির বাড়িতে অবস্থান করে।
চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা জানান, কলেজ ছাত্রী মনি অনেক দিন ধরে গ্রামেই ছিল। পরে উভয়ের অভিভাবকদের একত্রিত করতে না পারায় বিয়েতে বিলম্ব হয়েছে। ছেলে ও মেয়ের বাবা-মায়ের সম্মতিতে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
আব্দুস সালাম যিনি দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি এই ঘটনার বিষয়ে জানান, গত শনিবার বার অর্থাৎ ২১ জানুয়ারী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সেখানকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মনি-রাব্বির বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়েছে। আমি যতদূর জানতে পেরেছি তাদের মাঝে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। তবে ঘটনার সূরাহা সবচেয়ে ভালো পন্থা।