রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়ণের পর ব্যক্তিগত ভাবে শেষকৃত্যে যোগদান করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে ঘটনাটি দৃষ্টি কেড়েছে রাজা চার্লসের।তবে শেখ হাসিনা যখন ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তখন রাজা চার্লস তাকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাতে পারে না। যার জন্য অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস সোমবার রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে ব্যক্তিগতভাবে যোগ দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেস থেকে এক ফোন কলে রাজা চার্লস কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাজা চার্লস রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃ/ ত্যুর পর রাজপরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সমবেদনা জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
এক ফোনালাপের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজা চার্লসকে বলেছিলেন: প্রয়াত রানী আমার কাছে একজন মায়ের মতো এবং কমনওয়েলথের একজন অসাধারণ নেতা ছিলেন। আমি রানীর প্রতি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা হিসাবে তার রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী রাজাকে আরও জানান যে প্রয়াত রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশ তিন দিনের জাতীয় শোক পালন করেছে এবং তার চির শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসকে সিংহাসনে আরোহণের জন্য ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানান এবং তার দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ শাসনামল কামনা করেন।
১৯৯৭ সালে রাজা চার্লস (তৎকালীন প্রিন্স চার্লস) এর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী মাসে রাজা চার্লস ও তার রানী সহধর্মিণীকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।
রাজা উত্তর দিয়েছিলেন: ৫০তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ সফরের জন্য রানি কনসোর্ট এবং আমি অনেক অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে দুর্ভাগ্যবশত আমাদের তা বাতিল করতে হয়েছে।
রাজা বাংলাদেশের জনগণ এবং বাঙালি-ব্রিটিশ প্রবাসীদেরও শুভেচ্ছা জানান।
পূর্বে, বাকিংহাম প্যালেস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলার জন্য নতুন রাজার ফোন কলের সময় নির্ধারণ করেছিল, যিনি রাণী এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদানের জন্য যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রায়ণের পর অনেক মানুষের উচ্চ পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিশ্বের অনেক দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মন্ত্রীরা তার শেষকৃত্য অংশগ্রহণ করেন। দেশের অনেক রাষ্ট্রপতিকে শেষকৃত্য যোগদান করার জন্য নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, অন্যদিকে অনেকেই নিমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হয়নি। তবে যাদের নিমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হয়নি তাদের মধ্যেও অনেকে রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন।