সম্প্রতি গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের রিমান্ডে নেওয়ার পর বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পেছনে দায়ী হিসেবে পাঁচ নেতার নাম উঠে এসেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন- ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, জুনাইদ আহমেদ পলক, এবং মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে, যা রোববার ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছে।
রিমান্ডে থাকা নেতারা জানিয়েছেন, তারা শেখ হাসিনাকে বারবার সতর্ক করেছিলেন যে দেশের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু তিনি কোনো পরামর্শ গ্রাহ্য করেননি। পলকের দাবি, তিনি পদত্যাগ করতে চাইলেও তা করা সম্ভব হয়নি, এবং ওবায়দুল কাদের তাকে অপমান করেছিলেন। অন্যদিকে, সালমান এফ রহমান ডিবিকে জানান, কয়েকজন নেতার জন্য দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, এবং শেখ হাসিনা তা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন।
সালমান আরও উল্লেখ করেন, তিনি ব্যবসায়ীদের চাপের কথা শেখ হাসিনাকে জানালেও, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সেই কথা উপেক্ষা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে সালমান জানান, বৈঠকগুলো মূলত অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে হতো, কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নয়। এছাড়াও অর্থপাচারের দায় কিছুটা স্বীকার করলেও তিনি দায় চাপান শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্য ও মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যের ওপর।
সাবেক দুই আইজিপি, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং একেএম শহীদুল হক, রিমান্ডে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। মামুন দাবি করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করেছেন, আর শহীদুল হক নিজেকে এসব থেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন।
এই তথ্যগুলো রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া হয়েছে বলে ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছে।