সম্প্রতি হংকং এর স্বাধীনতা আর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উঠেছে নানা ধরনের আলোচনা। আর এই কারনে এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে হয়েছিল একটি সমাবেশ। তা নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে হচ্ছে আলোচনা। এ নিয়ে এবার লিখেছেন জুলকারনাইন সায়ের।পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো:-
হংকং এর স্বাধীনতা ও দেশটিতে চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত হংকংয়ের কিছু নাগরিক, গণতন্ত্রপন্থী এই সমাবেশকারীরা ম্যানচেস্টারে চীনের কনস্যুলেটের সামনে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করার সময় তাদের বেশ কয়েকজনকে একপ্রকারের টেনে-হিচরে কনস্যুলেটের ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা করে চীনের কূটনীতিকেরা, চীনের কনস্যুলেট জেনারেল ঝেন ঝিউয়াং স্বয়ং একজন বিক্ষোভকারীকে শারীরিকভাবে আক্রমন করেন ও তাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন যা উপস্থিত ক্যামেরায় ধরা পরে ও সর্বত্র ছড়িয়ে পরে। ব্রিটিশ পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত ওই বিক্ষোভকারীকে বেশ গলদঘর্ম হয়ে চীনা কর্মকর্তাদের কবল থেকে রেহাই করেন।
এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে আজ তোলপাড় হয়েছে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এবং ব্রিটেনের সকল গনমাধ্যম বেশ গুরুত্বের সাথে বিষয়টি কভার করছে। আজ পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর অধিবেশন চলাকালীন সময়ে আইন প্রণেতারা এই ঘটনায় চরম উষ্মা প্রকাশ ও বারবার সরকারকে এর সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যে কোন চীনা কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের জন্য অনুরোধ করেছেন। যুক্তরাজ্যের মাটিতে কোন কর্তৃত্ববাদী আচরন সহ্য করা হবেনা বলেও তারা মত প্রদান করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেসে নরম্যান বলেন “শান্তিপূর্ণ যে কোন প্রতিবাদ এই পার্লামেন্ট সবসময় অনুমোদন করে, এ ধরনের বিক্ষোভ প্রকাশ ব্রিটিশ সমাজের একটি মৌলিক অধিকার এবং এটি আমাদের জীবনধারার অংশ”
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনু্যায়ী জানা গেছে কনস্যুলেটে সমাবেশকারীদের মারধরের ঘটনায় চীনের সর্বোচ্চ কূটনীতিককে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তলব করেছে।
উল্লেখ্য, চীন আগ্রাসন থেকে অনেকদিন ধরেই বাঁচতে চাইছে হংকং। আর এই কারনে তারা আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।