বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ এর পর এবার ফারদিন নূর পরশ নামের ২৪ বছর বয়সী আরেক মেধাবী ছাত্রের প্রাণ গেল। তাদের দু জনকে হ”/ত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে হঠাৎ করে নিখোঁজ হন ফারদিন। এরপর গত ৭ নভেম্বর সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীর বনানী ঘাট নামক স্থান থেকে ফারদিনের নিথর দেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনার পর ফারদিনের বাবা ঘটনার দিন সাথে থাকা বান্ধবী বুশরা ও আরো কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হ”/ত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় তার বান্ধবী বুশরাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রামপুরায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফারদিনের নিথর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে রামপুরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে ফারদিনের বাবা বুশরাসহ অজ্ঞাতদের নামে রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি হ”/ত্যা মামলা করেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বান্ধবী বুশরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। নিহত ফারদিন নূর পরশ রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ এলাকার সাংবাদিক কাজী নূর উদ্দিন রানার ছেলে। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরা থেকে ফারদিন নামে এক বুয়েট ছাত্র নিখোঁজ হয়। পরদিন তার বাবা নুরুদ্দিন রানা রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি জিডি করেন। পরে সন্তনকে না পেয়ে খোঁজ দেওয়ার জন্য ফে’সবুকে একটি পোস্ট দেন নূরউদ্দিন রানা। সেখানে তিনি বলেন, ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮তম ব্যাচের ছাত্র। শুক্রবার রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে তাকে রামপুরা ব্রিজ এলাকায় শেষবারের মতো দেখা যায়। ফারদিন ওইদিন সোয়া ১১টা থেকে ১১টার মধ্যে সেখানে অবস্থান করছিলেন। এরপর তার হল বা বাসায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদরের সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের নিথর হওয়া দেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
এর আগে ফারদিনের বান্ধবী বুশরা এবং তার আরেক বন্ধুকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেই সময় বুশরা ঘটনার আগের দিনের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশকে জানান। ঐ দিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টার কিছু সময় পর পর্যন্ত বুশরা সাথেই ছিল, এমনটাই জানিয়েছেন বুশরা। এ ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান ফারদিন এবং শেষ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীতে তার নিথর দেহ দেখতে পায় লোকজন এবং তারা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন।