বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কিভাবে দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন সে বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন আমাদের দলের সভানেত্রীর পুত্র তারেক রহমানকেও নির্যা”তন করতে ছাড়েনি। তারেক রহমান বিদেশে থেকে আয়নাঘরের ভিকটিম হিসেবে তার ওপর অমানষিক নির্যা”তনের বর্ননা করেছেন, এমনটাই জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টর্চা”র সেল আয়নাঘরের ভিকটিম বলে মন্তব্য করেছেন ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই বলেছেন, আমি নিজেই একজন ভুক্তভোগী। ১/১১ এ যখন তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। তাকে এতটাই নির্যা”/তন করা হয় যে তার কোমর ভেঙে গিয়েছিল। আমরা যারা একাত্তরে যু”দ্ধ করেছি কখনো কল্পনাও করিনি যে আমরা এই বাংলাদেশ দেখব। আজ প্রশ্ন করতে চাই কেন আমরা যু”দ্ধ করেছি?
আজ মঙ্গলবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গু”ম-খু’/ন-ক্র”সফায়ারে প্রয়াত নেতা-কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভোলা, ফেনী, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম যুবদল, স্বচ্ছসেবক দল ও ছাত্রদলের ১৪ নেতা-কর্মীর পরিবারকে এককালীন আর্থিক সহায়তা ও বৃত্তি প্রদান করা হয়। গত ৯ বছরে, জাতীয়তাবাদী হেল্পলাইন সারা দেশে গু”ম, খু’/ন ও নির্যা”তনের শিকার ৩২৭ পরিবারকে সাহায্য করেছে।
টর্চার সেল প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা এই সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়ে যায়, তারপর নেত্র নিউজে যে খবর বেরিয়েছে তা দেখেছে- তাদের সেই ট”র্চার সেল আছে। তার নাম দিয়েছে আয়নাঘর। সে আয়নাঘরে নিয়ে যায়। যাদেরকে মে’/রে ফেলতে হয় তাদেরকে মে’/রে ফেলে, যাদেরকে রেখে দিতে হয় তাদের রাখে, ট”র্চার করে, বছরের পর বছর তাদেরকে রাখে। যে কয়েকজন ভাগ্যবান বেরোতে পেরেছিলেন তারা বিদেশ চলে যান এবং সেখানে গিয়ে তারা বলেন, আমাদেরকে এই ধরনের একটি সেলে আটকে রাখা হয়েছিল।
দমন-পীড়ন চালিয়ে বিএনপিকে কোনভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না, এমন ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমরা আমাদের আন্দোলন গ্রাম পর্যায়ে জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। দেশজুড়ে আজ মানুষ দেখছে কিভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, তারা রাস্তায় নেমে আসছে। থানা এবং উপজেলা পর্যায়ে বড় বড় মিছিল নিয়ে জনগণ বের হচ্ছে। এতো কিছু সত্বেও তাদের কাউকে থামতে দেখা যাচ্ছে না।