নাটোরের বড়াইগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের সামনে উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল (২৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভিকটিমের খোঁজ নিতে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) নাটোর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে রিজভী এই ঘটনার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, “ভিকটিমকে গ্রেপ্তার করা বেআইনি। আমি জানতাম না তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী, তারা বিএনপির লোক হলেও পুলিশকে মামলা নিতে বলেছি।”
রিজভী জানান, হামলাকারীদের অনেকেই বিএনপির নাম ব্যবহার করলেও বাস্তবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। ভিকটিমের ওপর হামলা হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা অন্যায় এবং তিনি এর তীব্র বিরোধিতা করেন।
তিনি আরও জানান, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানার ওসির সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন বলেও জানান রিজভী। তিনি বলেন, “তারেক রহমান আমাদের বারবার সংযত থাকতে নির্দেশ দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেয়।”
রিজভী অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশে ভয়াবহ শাসন চলছে এবং নাটোরের আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্যাতনের শিকার হয়ে তাকে প্রাণ হাতে নিয়ে আসতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর উজ্জ্বল কুমার মণ্ডলকে প্রকাশ্যে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং ফৌজদারি আইনের ১৫১ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। আদালত সেদিনই তাকে জামিনে মুক্তি দেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়।