গ্রেপ্তার করা হবে আরও অনেককে, তালিকা প্রস্তুত, সামনে আরও কঠোর হবো : বিপ্লব কুমার

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে নেমেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে সরকারি দল ও তাদের শরিকরা বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে আগ্রহী।

মহাসমাবেশের পর থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো এক দফা দাবিতে হরতাল-অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কর্মসূচির আগে ও পরে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানান, নাশকতা ঠেকাতে ৩০ হাজার ডিএমপি সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। ভাংচুর ঠেকাতে ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও নাম তালিকায় এসেছে, আগামীতে অনেককে গ্রেফতার করা হবে।

এ সময় বিপ্লব কুমার বলেন, তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে পুলিশ সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে এমন কোনো শক্তি ঢাকা শহরে নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সামনে আরও কঠোর হবো, পুলিশ আইন প্রয়োগে পিছপা হবে না।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে ডিএমপির ৩০ হাজার সদস্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

এ সময় তিনি বলেন, নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড চালাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করতে দেব না। বিপ্লব কুমার সরকার আরও উল্লেখ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করে পুলিশের মনোবল কখনই দুর্বল করা যাবে না।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ১১৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় বাসচালকসহ মোট ৪ জন নিহত হয়েছেন।

২৮ অক্টোবর একদিনে ৬৯৬ জন, ২৯ অক্টোবর ২৫৬ জন, ৩০ অক্টোবর ১৪১ জন, ১ নভেম্বর ৯৬ জন, ২ নভেম্বর ৬০ জন, ৩ নভেম্বর ৫৮ জন, ৪ নভেম্বর ৩৭ জন, ৪ নভেম্বর ৫২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫ নভেম্বর, ৬ নভেম্বর ৮২ জন। নভেম্বরে ডিএমপি ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করে। দশ দিনে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৬৯৬ জন। ২৮ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত রমনা বিভাগে ১২টি, লালবাগে ৮টি, মতিঝিলে ৩৬টি, ওয়ারীতে ১৭টি, তেজগাঁওয়েতে ৬টি, মিরপুরে ২১টি, গুলশানে ১৩টি ও উত্তরা বিভাগে ৪টি মামলা হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি ও দলীয় অঙ্গসংগঠনের ২৬০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।