২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের শুরুতেই সৌদি আরবের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে বর্তমানে নানা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ফুটবল জগতের অন্যতম শক্তি শালী ফুটবল টিম আর্জেন্টিনা। তবে আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের অনেকেই দাবি করছেন, শুরু থেকেই সৌদি আরবের পক্ষ নিচ্ছিলেন রেফারি স্লাভকো ভিনসিচ। এর পেছনে তার হাত থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।
কেননা তার সিদ্ধান্তে বাতিল হয় তিনটি গোল।
মূলত অফসাইডের কারণে আর্জেন্টিনা সেই গোলগুলো থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর্জেন্টিনার অনেক ভক্ত বলছেন, এই ম্যাচে সৌদির প্রতি তার সমর্থন ছিল!
রেফারি স্লাভকো ভিনসিক একজন ইউরোপীয়; তিনি স্লোভেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। দেশের ফুটবলের অন্যতম সেরা রেফারি হিসেবে স্বীকৃত তিনি। ৪২ বছর বয়সী এই ব্যক্তিত্ব ২০১০ সাল থেকে ফিফা ম্যাচের রেফারি করছেন।
ভিনসিক শুধু বিশ্বকাপই পরিচালনা করেননি, শেষ ইউরোপা লিগের ফাইনাল ম্যাচটিও পরিচালনা করেছিলেন। তিনি ২০১৬ এবং ২০২১ ইউরো কোয়ালিফায়ারও পরিচালনা করেছিলেন। তাকেও জেলে যেতে হয়! ২০২০ সালে, বসনিয়ার বিজেনার একটি কেবিন থেকে পুলিশ ভিনসিককে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে মা””দ’ক, ‘অ”স্ত্র’ চো’রা”চা’লা”ন ও ”যৌ”’ন”ক”’র্মী’ ”চক্রে’র সঙ্গে জ’ড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ সময় কেবিনে তল্লাশি চালিয়ে ১৪ প্যা’কেট ”কো”’কে”’ন’, ১০টি ‘আ”গ্নেয়া’স্ত্র”, ‘৩টি ”বু”লে”ট” প্রু’ফ জ্যাকে’ট ও ১০ হাজার ই’উ’রো উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ৯ নারী ও ২৬ জ’ন পুরু’ষকে।
এই ঘটনায় ভিনসিক একটি নৌকায় তিনজনকে নিয়ে দ্রিনা নদী দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। তদন্তে জানা গেছে, এই গ্যাংয়ের সঙ্গে ভিনচিচের সরাসরি কোনো সম্পর্ক ছিল না।
সার্বিয়ান মডেল তিয়ানা মাকসিমোভিচের সংস্পর্শে থাকার সন্দেহে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিয়ানার বিরুদ্ধে মধুর আংটি চালানোর অভিযোগ ছিল।
এদিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভিনসিচের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে পুলিশ। এটা তার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল বলেও জানান আলোচিত এই রেফারি।