গতকাল শনিবার গ্রীষ্মে একটি বিমান তার সকল আরোহী নিয়ে ভেঙে পড়ে যার কারণে অভিমানের কোন আরোহী জীবিত ছিলেন না। জানা গেছে, বিমানটি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এবং যাত্রাবিরতি হিসেবে চারটি দেশে অবতরণ করার কথা ছিল। বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর একটি কৃষি খামারে ভেঙ্গে পড়ে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, গ্রিসে বি’/ধ্ব”স্ত হওয়া কার্গো বিমানটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জন্য ক্রয়কৃত প্রশিক্ষণ মর্টারশেল বহন করছিল।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে যে ডিজিডিপি (ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ডিফেন্স পারচেজ) ক্রয় চুক্তির অধীনে কমিশন করা কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জন্য সার্বিয়া থেকে ক্রয় করা প্রশিক্ষণ মর্টার শেল বহনকারী একটি বিমান গ্রিসে ভেঙ্গে পড়ে বি/ধ্ব”স্থ হয়। এখানে উল্লেখ্য যে চালানে কোন অ’স্ত্র ছিল না এবং চালানটি বীমার আওতায় ছিল।
শনিবার সার্বিয়া থেকে জর্ডান যাওয়ার পথে কার্গো বিমানটি ভেঙ্গে পড়ে। কার্গো বিমানটিতে ক্রুসহ আটজন যাত্রী ছিল। বিবিসি ও রয়টার্সের খবর।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজা স্টেফানোভিচ বলেছেন, কার্গো বিমানটি ১১.৫ টন সার্বিয়ান তৈরি ‘অ”স্ত্র’ বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে এটি জর্ডান, সৌদি আরব এবং ভারতে যাত্রাবিরতি করবে এমনটাই কথা ছিল। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, কার্গো বিমানটিতে সাড়ে ১১ টন ‘অ’স্ত্র’ ছিল। তারা বাংলাদেশে যাচ্ছেন বলে জানান।
গ্রীক রাষ্ট্রীয় মিডিয়া টিভি ইআরটি জানিয়েছে যে, ইউক্রেন ভিত্তিক এয়ারলাইন দ্বারা পরিচালিত আন্তোনভ অ্যান-১২ কার্গো বিমানটি সার্বিয়া থেকে জর্ডান যাচ্ছিল। ইঞ্জিন সমস্যার কারণে পাইলট জরুরি অবতরণের অনুরোধ করছিলেন; কিন্তু বিমানটি তার সংকেত হারিয়ে ফেলে।
পাইলট ইঞ্জিন ব্যর্থতার কারণে কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু রানওয়েতে পৌঁছাতে পারেননি। বিমানটিতে আটজন যাত্রী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির সে”নাবাহিনী, বি’/স্ফো”রক বিশেষজ্ঞ এবং গ্রীক শক্তি কমিশনের কর্মীদের সাইটটি নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে না যেতে বলেছে। ইউ”ক্রেন ভিত্তিক কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত কার্গো বিমানটি উত্তর গ্রীক শহর কাভালার কাছে ভেঙ্গে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়।
তবে বিমানটি বাংলাদেশের অ’স্ত্র পরিবহন করে বাংলাদেশে আসছিল কিনা সে বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিমানটিতে কি পরিবহন করা হচ্ছিল সে বিষয়ে এখনও পরিস্কার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই বিমানটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।