গ্রীস অর্থনীতিতে শ্রমের ঘাটতি পূরণ করতে আনুমানিক ৩০ হাজার অনথিভুক্ত অভিবাসীদের নিয়মিত করার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি দেশটির আশ্রয় ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে।
গ্রিসের বেশ কয়েকটি সেক্টর সাম্প্রতিক বছরগুলিতে শ্রমিক সংকটের কারণে সমস্যায় পড়েছে। বিশেষ করে, বিপুল সংখ্যক আলবেনিয়ান নাগরিক পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার কারণে গ্রীক কোম্পানিগুলি অচল অবস্থায় পড়েছে।
এথেন্স অ-ইউরোপীয় বা তৃতীয় দেশের নাগরিকদের জন্য অঘোষিত বা চুক্তিবিহীন কর্মসংস্থান বন্ধ করতে এবং জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি নতুন ধরণের আবাসিক অনুমতির ঘোষণা করেছে।
১৪ ডিসেম্বর, আশ্রয় ও অভিবাসন মন্ত্রণালয় এবং গ্রিসের শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এক যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এ লক্ষ্যে একটি খসড়া সংশোধনীও প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেশে বসবাসকারী এবং চুক্তি ছাড়াই কর্মসংস্থানে নিয়োজিত অনিয়মিত অভিবাসীরা নিবন্ধন করতে পারবে এবং বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারবে।
বৈধতা আবেদন শর্তাবলী
গ্রীক সরকারের নতুন নিয়মিতকরণের সিদ্ধান্ত কাকে বৈধ করা হবে তা নির্দিষ্ট করে। একজন ব্যক্তি নিম্নলিখিত শর্তগুলি পূরণ করে সরকারের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বৈধতার জন্য আবেদন করতে পারেন।
বর্তমান বছরের ৩০ নভেম্বর বা তার আগে অন্তত তিন বছর ধরে ক্রমাগত গ্রীসে বসবাস করেছেন। আগের আইনে এর মেয়াদ ছিল সাত বছর। নতুন ঘোষণায় এই মেয়াদ কমিয়ে চার বছর করা হয়েছে।
নিয়োগকর্তার কাজের প্রস্তাব চুক্তি জমা দেওয়া, যেখানে কর্মী বৈধতার পরে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। কোনো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হচ্ছে না। একটি পাসপোর্টের কপি। যদি কারো পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে থাকে, তাহলে কেউ পূর্বের কপি জমা দিয়ে প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে পারেন।
গ্রিস ও বাংলাদেশের মধ্যে আরেকটি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশি অভিবাসীরা ইতিমধ্যেই দেশে বৈধ মর্যাদা পাচ্ছেন।
এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাস ৬ ডিসেম্বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। বাংলাদেশিরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ চুক্তির আওতায় বৈধ হওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।