দেশের জনপ্রিয় ই-কর্মাস প্রতোষ্ঠান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি আলেশা মার্ট। এই প্রতিষ্ঠানটি নানা ধরনের লোভনীয় অফার দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছে। এই অফার দিয়ে এবার অর্থনৈতিক ভাবে বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রতিষ্ঠানটি চলমান সকল সংকট কাটিয়ে ব্যবসায়ের কার্যক্রম সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য আপ্রান ভাবে চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিল প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রাহকদের জন্য ‘বিশেষ ঘোষণা’ দিয়েছে ই-কমার্স প্লাটফর্ম আলেশা মার্ট ডটকম। সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১২টার পর প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘বিশেষ ঘোষণা’ দিয়ে পোস্ট করা হয়। পোস্টে তারা বলেন, আলেশা মার্ট ইতোমধ্যে অত্যন্ত সফলভাবে বাইক ডেলিভারি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। কিন্তু রিফান্ড প্রক্রিয়া পরিচালনা করার সময় বিগত এক সপ্তাহ ধরে আলেশা মার্ট-এর বনানীস্থ কার্যালয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর দ্বারা অফিস স্টাফদের ওপরে অতর্কিতে হামলা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কারণে অফিস কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল। হামলাকারীরা কেউই আলেশা মার্ট-এর গ্রাহক নয়। তাই আমাদের সব সম্মানিত গ্রাহককে সুন্দরভাবে সেবা প্রদান ও আলেশা মার্ট-এর অফিস কার্যক্রম পুনরায় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কাস্টমারদেরকে কোনো প্রকার রেফারেন্স ব্যবহার না করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। আমাদের কাছে সব কাস্টমার সমান।
আলেশা মার্ট গেল কয়েক দিনের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে গ্রাহকদের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনাদের অর্ডার এবং রিফান্ডজনিত বিষয় নিয়ে যেকোনো তথ্য জানার জন্য শুধু আপনারা (গ্রাহক নিজে) সশরীরে আমাদের অফিসে উপস্থিত থাকবেন। গ্রাহক ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই অফিসে গ্রহণযোগ্য হবে না এবং গ্রাহকদের যেকোনো সেবা প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই নিজ নিজ জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসার অনুরোধ করছি। সময় ও সহযোগিতা পেলে আলেশা মার্ট সফলভাবে রিফান্ড প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবে- এই প্রতিশ্রুতিতে বদ্ধ পরিকর। এই ক্রান্তিকালে সবাই মিলে একত্রিত হয়ে আলেশা মার্টকে দেশের বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে পারব বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলো কর্মকান্ড নিয়ে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। এবং বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠেছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। এমনকি বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমানের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। তবে এই সকল অনিয়মকারীদের শাস্তির সম্মুখীন করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার।