সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের তাণ্ডবে রীতিমতো সারা-দেশজুড়েই নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে নিস্তার পেতে প্রতিনিয়ত পুলিশের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে অনেককে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহালতবিয়তেই।
রাজধানী পল্লবীতে ‘ভইরা দে’ নামে একটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করেন হাসিবুল হাসান অনিক (২৬) নামে এক তরুণ।ফেসবুক মেসেঞ্জারে একই নামে তার একটি গ্রুপ রয়েছে, যেটির মাধ্যমে সে তার অপরাধ পরিচালনা করে।
অনিক ও তার চক্রের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। কিন্তু পুলিশ তাকে বা তার গ্রুপের সদস্যদের গ্রেফতার করছে না। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে পল্লবী থানা পুলিশ বলছে, অনিককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মিরপুর ১১ নম্বরের বাউনিয়া বাঁধের ৭ নম্বর লাইন, বি-ব্লকের বাসিন্দা অনিকের এই কিশোর গ্যাংটি পুর’নো। ‘কোপা”নো’ ঘটনার ‘মা’ম’লা’ ছাড়াও গত এক মাসে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা ও একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, অনিক ও তার ঘনি’ষ্ঠজ’ন ফ’তে’হ, মামুন ও খোকন পল্লবীর শীর্ষ ‘মা”দ”ক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট’ থানায় একাধিক ‘মা’দ”’ক মা’মলা’ রয়েছে। অল্প বয়’সেই ‘মা”দ’ক” বিক্রি করে বিপুল অর্থের মা”লিক হন অনিক।
গত ১১ সেপ্টেম্বর স্কুল ছাত্র আশিকের ওপর হামলা চালায় অনিক ও তার গ্যাং সদস্যরা।
পরে আশিকের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে পল্লবী থানায় মামলা করেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হন অনিক। ১৬ সেপ্টেম্বর অনিক ও তার বাহিনী মিরপুর ১১ নাভানা লেনে আশিকের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে।
এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর আশিকের মামা জুয়েলকে ‘কু”পি”য়ে’ জখম করে অনিক ও গ্যং । এর দুদিন পর ২৯শে সেপ্টেম্বর জুয়েলের বন্ধু পারভেজের ওপরও হামলা চালায় তারা।
হামলার ঘটনায় জুয়েল ও পারভেজ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। অনিক, মামুন, খোকন, সাকিব, অপি, শাকিল ও হোসনে আরাসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদ মাদ্ধ্যমকে জানান, অভিযান চলমান রয়েছে, খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।