সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ কিছু কাজের উদ্দেশ্যে দিল্লী সফরে গিয়েছে। সেখানে যাওয়ার প্রথম দিনই তিনি আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির সাথে বৈঠক করেন। আর এই বৈঠকে শেখ হসিনা আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির কাছ থেকে একটি প্রতিশ্রুতি নিয়ে নেয়। যদি এই কাজটি সফলভাবে পূরণ হয় তাহলে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ট্রানিং পয়েন্ট হতে পারে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে গড্ডা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক টুইট বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
একটি টুইটে আদানি লিখেছেন যে দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করা সম্মানের। বাংলাদেশের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি অনুপ্রেরণাদায়ক এবং অত্যন্ত সাহসী। আমরা এই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৬০০ মেগাওয়াট গোড্ডা বিদ্যুৎ প্রকল্পের সঞ্চালন লাইন চালু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে সোমবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ব্রিফিংয়ে ভারতীয় মন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলেন, তারা আমাদের বলেছেন যে ভারত সেখানে (রাখাইন রাজ্য) অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই ভালো। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে তাদের প্রস্তাব দেয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চারদিনের সফরে সোমবার নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোস দিল্লি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রীর এই ভারত সফরকে ঘিরে প্রত্যাশা অনেক। বিশ্লেষক বলেছেন যে, শেখ হাসিনার এবারের সফর আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়গুলি সমাধান না করার জন্য বিগত দিনে অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে এবার এই সমালোচনার অবসন হতে পারে।