এবার দুদকের চখে ধরা পড়লো ঢাকা মেডিকেল কলেজ ডিএমএইচ কর্মকর্তাসহ আরো অনেকের অনৈতিক কর্যক্রম। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেশ কিছুদিন তাদের উপর নজর রাখে তারা। এক পর্যায়ে নিশ্চত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হানা দেয় দুদক। এরপর একেরপর এক বেরিয়ে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
বংলাদেশের এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম দ্বারা জানা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমএইচ) হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসা হাজার হাজার রোগীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমএইচ) হাসপাতালের কর্মচারী আলী, রাজীবসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের সহকারী পরিচালক রনজিত কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের বিষয়ে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযানকালে দুদকের গোপন দল বহির্বিভাগে পর্যবেক্ষণে দেখতে পায়, কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন কাজ করার নামে রোগীদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিচ্ছে। পরে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ও উপ-পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করে।
আলী নামের একজনের বিষয়ে ডিএমকে-র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালে ডিএমকে কর্তৃপক্ষ বলে যে তিনি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সদস্য নন। তবে হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী দুদক কর্মকর্তাদের জানান, আলী নামের এক দালাল বহির্বিভাগে এ ধরনের অবৈধ কাজ করে থাকে। তবে অভিযানে তাকে পায়নি দুদক।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সন্ধ্যায় রাজীবের ডিউটি থাকায় তার বক্তব্য নিতে পারেনি দুদক। এনফোর্সমেন্ট টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ও উপ-পরিচালকের কাছে অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়। তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান। টিমের সূত্র ঢাকাটাইমসকে জানায়, অভিযানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিগগিরই কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রতি আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করার সিন্ধান্ত নিয়েছে দুদক। তাদের সার্স কমিটি এখনো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে আরো নতুন কনো আলামত উদ্ধর করা যায় কিনা সেই আসায়। তারা জানিয়েছে, আমাদের ধারনা আরো অনেক বড় রিকেড এই হাসপাতালে চলে। আমরা সে গুলোকে সনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।