দিনের বেলায় অন্যায় কাজ করতে না পেরে মাঝরাতে বেআইনি কাজ করার চেষ্টা করে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় এক আইনজীবী। যেনে বুঝে সুধু মাত্র অর্থ লোভে এক অল্প বয়সী তরুণীকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল অন্ধকার জগতে। তবে ঘটনাটি ওই এলাকার এক যুবক গোপনে ইউএনওর কাছে খবরটা লিক করে দেয়। তৎক্ষনাত একমূহুর্ত দেরি না করে ঘটনা স্থলে ছুটে যান তিনি।
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় এক আইনজীবীর বাড়িতে হলফনামার মাধ্যমে বাল্যবিয়ে দিচ্ছিল। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন মাসুদুল হক। এ ঘটনায় বর ও আইনজীবী উভয়কেই মুচলেকা দিতে হয়েছে।
শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে জেলার সদর উপজেলার ডাককামারা এলাকায় আইনজীবী মোহাম্মদ রবিউল ইসলামের বাড়ির একটি কক্ষে বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। ইউএনও আসার পর সেই বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় বরের পরিবারকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি আইনজীবী মোহাম্মদ রবিউল ইসলামকে হলফনামার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাল্যবিবাহ না করার জন্য মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাল্যবিবাহ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল আইনজীবীদের মাধ্যমে হলফনামা দিয়ে নাবালিকাদের বিয়ে। হলফনামার মাধ্যমে বিয়ের খবর শুনে ডাককামারা এলাকায় ওই আইনজীবীর বাড়িতে যান ইউএনও মাসুদুল হক।
সেখানে বর-কনের পরিবার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সদর পুলিশের উপস্থিতিতে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বরকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুল হক এ আদেশ দেন।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলার ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. মাসুদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার রাতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনজীবীর বাড়িতে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করি। পরে বরের পরিবারকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং বিশেষ শর্তে ওই আইনজীবীর কাছ থেকে মুচলেকায় মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
এই ঘটনার পর সুধু মাত্র জরমানা ও অর্থ দন্ডদিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কনের পিতা-মাতাকে কঠোর হুশিয়ারী ও নানা ভাবে বুঝিয়ে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়। এমন ঘটনা যেন আর কোনদিন না ঘটে আইনজীবী সেই পরামর্শ দেন ইউএনও।