কক্সবাজারের টেকনাফের হাড়িয়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা দুই কেজি অবৈধ মাদক ক্রিস্টাল মেথ (আইস) এর ১০ কোটি টাকার চালানসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড হাড়িয়াখালীর মৃত আমির হোসেনের ছেলে।
আহমদ হোছান (২১)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল, ক্রিস্টাল মেথ নামক মাদক কারবারি চক্র পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদকের চালান নিয়ে টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী এলাকায় অবস্থান করছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র্যাব।
র্যাব-১৫, সিপিসি-২ হোইকুং ক্যাম্পের অভিযানকারী দল মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ওই এলাকার মসজিদুল ওহাবের পূর্ব পাশে আমির হোসেনের বাসার সামনে অভিযানকারী দল উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আইস চালানের মালিক কক্সবাজার অভিমুখে পালানোর চেষ্টা করেন।
এরপর তাকে (আহমদ হোছানকে )গ্রেফতার করা হয়। সাক্ষীদের সামনে গ্রেপ্তার হওয়া আহমেদ হোচান পরে তার বাসভবনের বেডরুমে বিছানার নিচে ক্রিস্টাল মেথ বা আইস রাখার কথা স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী বিশেষ পদ্ধতিতে বাসা তল্লাশি করে মোট দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত যুবক প্রতিবেশী দেশ থেকে মাদক চোরাচালানে জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে। সে টেকনাফ এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী এবং দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত। প্রতিবেশী দেশগুলোর মাদক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে সে দেশে অবৈধ মাদক আইস পাচারের সঙ্গে জড়িত। জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী প্রতিবেশী দেশের মাদক সিন্ডিকেটের সাথে সমন্বয় করে আইসের চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসত এবং বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে এসব মাদকের চালান কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিত।
আটক যুবকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধারকৃত মাদক টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।