রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা এক বিক্ষোভকারীকে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করা সেই জল্লাদ অবশেষে ধরা পড়েছে। ক্যামেরার সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সে নিজেই স্বীকার করেছে যে, সে গুলি করেছে।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় যারা আমাদের সন্তানদের শহীদ করেছে, আহত করেছে—তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। অপরাধীদের খুঁজে বের করতে জাল ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে, এবং আরও নতুন তথ্য সামনে আসছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে পিনাকী বলেন, যারা গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। আমরা খেয়াল রাখছি, কারা কারা তাদের রক্ষা করতে চাচ্ছে।
জুলাইয়ে পরিচালিত হেলিকপ্টার মিশনের পুরো তথ্য এখন হাতে এসেছে। কোন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, কত রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল, ফ্লাইট ট্র্যাকিং, হতাহতের বিস্তারিত—সব কিছু প্রকাশ্যে আসছে।
পিনাকী জানান, প্রথম হেলিকপ্টার মিশন শুরু হয় ১৯ জুলাই দুপুর ১:৪০টায় এবং তা ৩:১০টায় শেষ হয়। এই অভিযানের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌসসহ মোট চারজন। তাদের মধ্যে একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার, একজন সার্জেন্ট এবং একজন কর্পোরাল ছিলেন।
তিনি আরও দাবি করেন, অভিযানে সাউন্ড গ্রেনেডসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, যা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস। হেলিকপ্টারে যারা ছিলেন, তারা হয়তো ভাবছেন এসব কেবল হুমকি—কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
পিনাকীর এই বক্তব্য নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।