চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে লালমনিরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি কঠোরভাবে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করেছিলেন। ছাত্রনেতাদের অভিযোগ, তিনি আন্দোলনের সমন্বয়কদের ফোন দিয়ে মিছিল, মিটিং এবং কর্মসূচির সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতেন। কখনও তিনি বলতেন, আধা ঘণ্টার মধ্যে কর্মসূচি শেষ করতে হবে, কখনও আবার এক ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিতেন।
গত মঙ্গলবার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়করা এসব তথ্য প্রকাশ করেন। এর আগে সোমবার তাকে ওএসডি করার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, যা নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
লালমনিরহাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. হামিদুর রহমান বলেন, “আমরা যখন আন্দোলন শুরু করি, তখন ঊর্মি ম্যাডাম সরাসরি আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতেন। তিনি আমাদের সময়সীমা বেঁধে দিতেন এবং দ্রুত কর্মসূচি শেষ করার জন্য নির্দেশ দিতেন।”
আরেক সমন্বয়ক মো. আরমান আসিফ বলেন, “তিনি প্রতিদিন ফোন করে আমাদের কর্মসূচির খোঁজ নিতেন এবং নির্দেশনা দিতেন। একদিন তো তিনি এক ঘণ্টার মধ্যে কর্মসূচি শেষ করার সময় বেঁধে দেন। কিন্তু আমরা তার আদেশ মানিনি।”
ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বাসিন্দা। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং ৪০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। চাকরিতে যোগদানের পর তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিতি পান। তবে তার সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সমালোচনা চলছে।