বাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এক গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো শুরু গোটা এলাকাজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক গ্রামপুলিশের এক সদস্যকে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকালে কালাদ্রপ ইউপির ১নং ওয়ার্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বুধবার রাতে ৫৫ সেকেন্ডের মা/র/ধরে/র ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে নোয়াখালীর গ্রাম্য পুলিশ নূর হোসেনকে লাঠি দিয়ে ভুক্তভোগি ওই গৃহবধূকে মারধর করতে দেখা যায়। এ সময় পাশে কান্না করছিল গৃহবধূর শিশুপুত্র। তখন ওই নারীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে বাড়ির কয়েকজন নারী।
পরে এ ঘটনায় ভিকটিম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে বুধবার বিকেলে তাকে শোকজ করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি নূর হোসেনকে আটক করে।
জানা যায়, কালাদ্রপ ১নং ওয়ার্ডে ইউনুচের বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী সাহাব উদ্দিনের বিরোধ চলছিল।গত ১৯ জুলাই সকালে গ্রাম পুলিশ সদস্য নূর হোসেন ওই বাড়িতে গিয়ে সীমানা ৪ হাত উত্তরে সরাতে চান। কিন্তু নি/র্যা/তি/তা মহিলা তাকে তা করতে বাধা দেন।
এ সময় নুর হোসেন প্রথমে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও পরে মা/র/ধর করে। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার (২৭ জুলাই) নি/র্যা/ত/নে/র ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি সচেতন মহল ও প্রশাসনের নজরে আসে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ঐ ভিডিওটি পর্যালচনা করে নূর হোসেনকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।