ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এতে নাশকতার অভিযোগ আনা হলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, উল্লেখিত কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা মামলাটিকে গায়েবি মামলা হিসেবে অভিহিত করছেন।
রোববার (১ অক্টোবর) বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আসামি করা হয়েছে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলন, নাসিক কাউন্সিলর ইকবালসহ বিএনপির সক্রিয় নেতাদের।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের রঘুনাথপুর আজিমুনসান মাদ্রাসা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ যাওয়ার প্রবেশ দারে প্রবেশ পথে উল্লিখিত বিএনপির নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় হাতে মশাল, লোহার রড, হকিস্টিক, চাপাতি, ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে রাস্তায় টায়ারের আগুন ধরিয়ে মশাল মিছিল করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু যানবাহন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ঘটনাস্থল থেকে নাশকতার বিভিন্ন আলামত উদ্ধারের কথাও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন- ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বারি ভূইয়া (৫১), কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার মিয়া (৪৮), শাহাদাৎ হোসেন (৫৫), নাজমুল ইসলাম (৩৫), জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি (৩০), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজেদুল (৪৩), কুতুবপুর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির (৪২), ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিঠু সরদার (৪৫), মো. মজিবর শিকদার (৫৫), ফতুল্লা থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক পিয়াস খন্দকার (৪০), সিরাজ (৫০), মো. শামীম (৪০), আতাই রাব্বি (৩০), জিদনী (২২), রাফি (৩২), তানহা (৩০), মাহফুজ (২৭), ইউনুস (8৫), মো. রাজু (৩৮), মো. অভি (৩৭), তুষার আহম্মেদ (৪৮), নজরুল ইসলাম (৪২), রোজেল (৪৫), মো. মকবুল হোসেন বাবলু (৪০), মো. হাসান (৪০), লিটন সর্দার (৪৫), তারা মিয়া, মেহেদী হাসান দোলন (৩০), গিয়াস উদ্দিন লাবলু (৪২), মোসলেম উদ্দিন মোসা (৪৭), রুহুল আমিন মুন্সি (৫০), শামীম (৩১), মা. আলমগীর হোসেন (৪২), হাজী শহিদুল্লাহ (৫০), ইকবাল কমিশনার (৫০)।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু জানান, ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা এ ধরনের কোনো কর্মসূচি পালন করেনি।
এ ছাড়া গণমাধ্যমেও আসতো। যেখানে কর্মসূচি হয়নি সেখানে শুধু নেতাকর্মীদের হয়রানি করতেই গায়েবি এ মামলা। এটি আগের গাইবি মামলায় একটি নতুন সংযোজন। এটি ফতুল্লার নেতাকর্মীদের হয়রানির ষড়যন্ত্র। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের নিজস্ব যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায়ও আমাদের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।