গত ৫ আগস্ট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতার প্রতিবাদ এবং অভ্যুত্থানের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। বেসামরিক একটি হেলিকপ্টার যোগে তিনি দেশ ছাড়েন, তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ভারতে অবস্থান নিয়ে গত দুই মাসে দেশে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলে। এ সময় গুঞ্জন ওঠে যে, শেখ হাসিনা ভারতে স্থায়ী হচ্ছেন না। তবে গত রোববার (৬ অক্টোবর) নতুন করে একটি গুঞ্জন ছড়ায়—তিনি ভারত ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান শহরে চলে গেছেন।
এই গুঞ্জনের মধ্যেই সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় চ্যানেল ২৪-এর সঙ্গে আলাপকালে জানান, তার মা ভারত ছাড়েননি। জয় বলেন, “আমার মা এখনো ভারতে অবস্থান করছেন, তাকে নিয়ে যে খবর ছড়ানো হয়েছে তা সঠিক নয়।”
এর আগে, ৪ অক্টোবর জয় জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনাকে ভারত ছাড়ার জন্য কোনো চাপ নেই। আর গত ৩ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার অংশ নেয়া প্রসঙ্গে প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী টাইমস ম্যাগাজিনের সঙ্গে কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ওই সময় জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের বিষয়ে জয় বলেন, তার নির্বাচনে লড়াইয়ের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলনের প্রসঙ্গে পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে জয় বলেন, আমরা কোটা মুভমেন্ট দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এমনকি আমি বলেছিলাম, ৩০ শতাংশ কোটা অনেক বেশি। এটি আমাদের কমিয়ে পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত। তখন কেউ একজন বলেন যে আমরাও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি। তখন আমি মজা করে উত্তর দিয়েছিলাম, সেজন্যই আমি ৫ শতাংশ ছেড়ে দিয়েছি।
জয় আরও বলেন, তার মা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বেশ বিচলিত এবং হতাশ। কেননা গত ১৫ বছরে তার সমস্ত কঠোর পরিশ্রম অনেকটাই ব্যর্থ হতে চলেছে এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান জয়। তিনি বলেন, তার নিজেরও কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই, তবে পরিস্থিতি দেখে ভবিষ্যতে কী হবে তা বলা মুশকিল।