নির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সরকারও নমনীয় হয়েছে। তাই আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে ভিড় করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা বিভিন্ন জেলা থেকে আদালত চত্বরে আসছেন।
নেতাকর্মীরা বলছেন, গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। বাড়ি যেতে না পারায় ব্যবসাসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় জামিন নিয়ে দেশে ফিরতে চান তারা। দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও সক্রিয় হতে চান তিনি।
নোয়াখালী থেকে আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে এসেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আফজাল হোসেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন। তবে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হওয়ায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
আফজাল বলেন, যেদিন গাড়ি পুড়েছে সেদিন বাড়িতেই ছিলাম। আমি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। কেন মামলায় জড়ানো হলো জানি না।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির সদস্য নয় এমন ব্যক্তিদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনিও বাড়িতে থাকতে পারেননি। সারাদেশে নেতাকর্মীরা ঘরের বাইরে, ব্যবসা থেকে পিছিয়ে পড়েছেন। তারাও অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে।
বিএনপির আইনজীবীরা বলছেন, নেতাকর্মীদের মুক্ত করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য। এ জন্য একটি সেল কাজ করছে। জামিন পেয়েছেন প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী। আরো অনেক মামলা বিচারাধীন। সেগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
২৮ অক্টোবরের সহিংসতার পর বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়। বিএনপি জানায়, তার লাখ লাখ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে। আর গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে।