গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরায় একটি ম/”র্মা’ন্তিক দুর্ঘটনা ঘট। ওই এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি বিশাল ওজনের গার্ডার ক্রেন থেকে ভারসাম্য হারিয়ে ছিটকে একটি প্রাইভেট কারের উপর গিয়ে পড়ে। এতে করে ওই প্রাইভেটকারে থাকা ৬ জন যাত্রীর ৪জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এবং ঘটনায় আহ’ত হন অন্তত দুজন। গাড়িতে সবাই একই পরিবারের সদস্য ছিলেন, বলে জানা যায়। ঘটনার বিষয়ে তদন্তের পর ৪ টি কারন উদঘfন করলেন তদন্তকারী দল।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী জানান, চারটি কারণে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে ১২০ টন ওজনের একটি গার্ডার ছিটকে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) ঘটনার তদন্তে মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে তার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। বিকেলে সচিবালয়ে সড়ক বিভাগের সচিব প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি চারটি কারণ জানিয়েছে। প্রথমত, ঠিকাদারের অবহেলার কারণেই এমনটা হয়েছে। গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ থাকলেও কাজ করা হয়। কাজের পরিকল্পনা ছিল না।
দ্বিতীয়ত- ট্রাফিক পুলিশকে জানানো হয়নি। তৃতীয়ত- দুর্ঘটনাস্থলে রাস্তার এক অংশ উঁচু এবং অন্য অংশ নিচু ছিল। ক্রেনটি চালানোর সময় একটি চেইন উপরের অংশে এবং আরেকটি অন্য অংশে ছিল। ফলে ক্রেন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।
সর্বশেষ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিকেলে হঠাৎ করে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং সেগুলো ক্রেনের খুব কাছাকাছি চলে আসে। অপারেটর বিচলিত হয়ে হঠাৎ ব্রেক করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
রাজধানীর উত্তরায় সোমবার বিকেলে বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে প্রাইভেটকারে থাকা শি”শুসহ পাঁচজন প্রয়াত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুইজন।
প্রয়াতরা হলেন রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝর্ণা (২৮), ঝর্ণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের প্রয়ান ঘটে। শুধুমাত্র হৃদয় ও রিয়ামনি নামে নবদম্পতি বেঁচে ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনার পর শোকের মাতম নেমে আসে ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে। জানা গেছে, ওই গার্ডারটি গাড়ির উপর পড়ার পর পাশে থাকা দুজন বের হতে সক্ষম হন। তবে তারাও বেশ কিছুটা আহত হয়েছেন। যারা ক্রেনের দিকে ছিলেন তাদের ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায়।