স্বভাবতই নির্বাচন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা একটু বেশিই থাকে। এখানে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতার অপব্যবহার করতে। তবে তার থেকেও ভিন্নরকম ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটেছে কুমিল্লায়। সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর গাড়িতে পুলিশের সিল। হয়তো ভুয়া পুলিশ সেজে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা। তবে পার পায়নি পুলিশের থেকে, সাথে সাথেই পদক্ষেপ নির্বাহি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের।
কুমিল্লার চান্দিনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগানোর দায়ে আওয়ামী লীগের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে এর চালককে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের বরকইট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বুধবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসেমকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি চালক মোহাম্মদ আলীকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আটক চালকের বাড়ি কুমিল্লার বগুড়া উপজেলার বাশতলি গ্রামে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আবুল হাসেম তার গাড়িতে পুলিশ, ডিবি ও বিজিবি পরিচয়ের স্টিকার লাগিয়ে কেন্দ্রের নির্ধারিত ৪ শ গজের মধ্যে প্রবেশ করায় ভ্রাম্যমাণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম মোহাম্মদ আলীকে আটক করেন।
‘এ সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের সাজা ও জরিমানা করি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুর রহীম জানান, স্টিকার ছাড়াও ওই প্রার্থীর গাড়িতে পুলিশের একটি ক্যাপ পাওয়া গেছে। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ গাড়িটি জব্দ করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জরিমানা ও সাজা দেয়া হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুর রহীম জানান, স্টিকার ছাড়াও ওই প্রার্থীর গাড়িতে পুলিশের একটি ক্যাপ পাওয়া গেছে। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ গাড়িটি জব্দ করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জরিমানা ও সাজা দেয়া হয়।
আইন সবার জন্য সমান সেটা বলার উপেক্ষা রাখে না। তাও আবার প্রশাসন সেজে জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা। এমন ঘটনা আওমী লীগের জন্য অত্যন্ত নিন্দাজনক। সাজা দেওয়ার পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মুখ থেকে কোনো কথা পরে আর শোনা যায়নি।