গতকাল বুধবার (১৭ আগস্ট) গাজীপুরের টঙ্গী থেকে নিখোঁজ হন শিক্ষক জিয়াউর রহমান মামুন ও তার শিক্ষিকা স্ত্রী জেলি আক্তার দম্পতি। তাদের নিখোঁজের বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেক খোঁজা-খুঁজি করেও ঐদিন তাদের কোনো সন্ধান পাননি স্বজনরা। পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশকে জানান স্বজনরা। আর এরই আলোকে অভিযান চালিয়ে আজ বৃহস্পতিবার টঙ্গীর নিমতলী হায়দ্রাবাদ ব্রিজ এলাকা থেকে প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে ঐ শিক্ষক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত একেএম জিয়াউর রহমান মামুন ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার দাড়ি কাঁঠাল গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। গাজীপুর মহানগরীর ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের গাছা থানার কামারজুরী এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন ওই শিক্ষক দম্পতি।
মৃতের ছেলে মিরাজ জানান, টঙ্গীর কামারজুরী এলাকার বাসা থেকে একই গাড়িতে স্কুলের উদ্দেশে রওনা হন ওই শিক্ষক দম্পতি। স্কুল শেষে সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু এরপর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্বজনরা সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও কিছু পাননি। ভোরে হায়দরাবাদ ব্রিজ এলাকা থেকে গাড়ির চালকের আসনে প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রীর লাশ পাওয়া যায়। সেখান থেকে প্রথমে তায়রুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে উত্তরার অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার মাহমুদা আক্তার জলির বোন তাহমিদা আক্তার রিমা চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, খাবারে কিছু মিশিয়ে পরিকল্পিতভাবে /হ//ত্যা/ করা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তার বোনের নাক-মু/খ থেকে ফেনা বের হচ্ছে। তাহমিদা আক্তার গলায় আ/ঘাতে/র চিহ্নও দেখতে পান।
এদিকে এ বিষয়ে ওসি নন্দলাল চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।