আসলে কাউকে বাজে কথা বলে হয়তো খনিকের জন্য মনে প্রশান্তি মিলতে পারে কিন্তু নিজের নীচু মনের পরিচয় সবার সামনে তুলা ধরা হয়। বাজে কথা বললেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় সেই ধারণাটি কিন্তু একেবারেই ঠিক না। সম্প্রতি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন দেশে এখন কথায় কথায় আমাদেরকে গালিগালাজ করা হয়ে থাকে।
দেশে এখন আমলাদের গালিগালাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমলারা দেশের মানুষ, তাদের ছাড়া দেশ চলতে পারে না।
সোমবার (১৩ জুন) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদীয় অধিবেশনে সম্পূরক বাজেট কাটার আলোচনা চলাকালে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজকাল আমলারা মৌখিকভাবে গালিগালাজ করেন। যদি কিছু হয়, তারা নির্যাতিত হয়. আমলারা এদেশের মানুষ। তাদের ছাড়া দেশ চলবে না। ‘
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমলাদের পাশাপাশি তারাও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করেছি, তারা আমলা হয়ে গেছে। তাদের ছাড়া দেশ চলবে না। তারা সরকারের অধীনে কাজ করে, তারা সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে। ‘
পৌরসভার প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে আমলাদের প্রভাব বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি এমপিদের সমালোচনা প্রসঙ্গে বলেন, এতে জনপ্রতিনিধিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি। পৌরসভার মেয়ররা সেখানে সর্বোচ্চ। আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন মাত্র ৩৬টি পৌরসভা বেতন দিতে পারত। এখন প্রায় সব পৌরসভাই তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে বেতন ভাতা দিতে পারে। এমনকি কিছু পৌরসভা জমি কিনছে। তার মানে পৌরসভায় পরিবর্তন আসছে। জবাবদিহিতার জায়গাটি নিশ্চিত হওয়ায় উন্নত করা হচ্ছে। ‘
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করা হবে উল্লেখ করে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, উপজেলা পরিষদ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। এটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি বড় ইউনিট। কিন্তু বছরের পর বছর উপজেলা চেয়ারম্যানরা হচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অধীনে রাখা হয়েছে। তাদের আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছে।”
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ইউএনওদের উপজেলা পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
রুমিন ফারহানা বলেন, প্রতিযোগিতা এতটাই বেড়েছে যে তারা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লিখছেন।
প্রসঙ্গত, দেশ চালাতে গেলে দেশের সাধারণ মানুষসহ সবাইকেই প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই কাউকে বাদ দিয়ে দেশ চালানো কখনই সম্ভব না। সবার সমন্বয়িত প্রচেষ্টায় দেশ হয়ে উঠতে পারে একটি সমৃদ্ধশীল দেশ। রেষারেষির অনলে ক্ষতি ছাড়া সুফল পাওয়া কোনোদিনি সম্ভব না বলে অনেকে ধারণা করেন।