আকবর আলী গাজী হানিফ সংকেতের ইত্যাদি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একজন সংগীতশিল্পী হয়ে ওঠেন। কিশোর কুমারের জনপ্রিয় গান ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি গেয়ে তিনি জনপ্রিয়তা পান। এরপর আকবরের আরও একটি গান তৈরি হয় যে গানটির শিরোনাম ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’ এবং সেটির একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি হয়। গানটিতে তার সাথে নারী শিল্পী হিসেবে ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূর্ণিমা। গানটি সে সময় বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’ গানে আকবরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূর্ণিমা। সেই সহশিল্পীর প্রয়ানে শোক প্রকাশ করলেন এই অভিনেত্রী। পূর্ণিমার পাশাপাশি দেশের শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি প্রয়াত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গায়ক আকবরের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা।
আকবরের প্রয়ানের খবরে পুণির্মা বলেন, “আকবর আর নেই, এটা অবশ্যই আমার জন্য দুঃখের বিষয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্যও নানান বেগ পেতে হয়েছে। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।”
সেই গানের ভিডিওতে আকবরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথাও স্মরণ করেন এই তারকা। তার মতে, “আকবর আমার সাথে সেই একটা কাজ করেছেন। সেটা ২০০৩ সালের দিকে। হানিফ সংকেত দা-এর কারণেই এটা সম্ভব। আকবর যখন ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ দিয়ে এত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন, তখন হানিফ সংকেত দা এই মিউজিক ভিডিওটির কথা ভেবেছিলেন।
হয়তো তিনি আমাকে সেই সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন। তারপর কাজটা করি। জনপ্রিয়তার দিক থেকে এটি আকবরের ‘ইত্যাদি’-তে প্রকাশিত প্রথম গানকেও ছাড়িয়ে গেছে; সবচেয়ে বড় কথা, এটি ছিল তার নিজের মৌলিক গান। গানটির জন্য মানুষের কাছ থেকেও অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।”
পূর্ণিমা আরও বলেন, “কাজ করতে গিয়ে সে খুব নার্ভাস ছিল। এটা তার জীবনের অনেক বড় একটা কাজ। সে আমার সাথে বসে আছে। আমি হাত পাখার বাতাস করছি তাকে, খাওয়াচ্ছি। কিছু হাত ধরার দৃশ্যও ছিল। এত বেশি নার্ভাস ছিলেন। পাশে বসবেন কী বসবেন না! আরও অনেক সংশয়ে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি আর সংকেত দা তাকে যেভাবে বুঝিয়েছি সেভাবেই সে করেছে।বোঝাই যায়নি এই ধরনের কাজ এটাই তার প্রথম।’
এরপর আমি আকবরের সাথে আর তেমন কোন কাজ করতে পারিনি, এমনটি জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। তবে বিভিন্ন শো’তে তার সাথে আমার বেশ কয়েক বার দেখা হয়েছে। আকবর ছিল অত্যন্ত সাদাসিধে একজন মানুষ। তার সাথে যে সময় দেখা হতো তিনি আমাকে সালাম দিতে ভুলতেন না। তিনি আমাকে অনেক সম্মান করতেন।