নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নিজ বাসভবনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। এর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে এমন বৈঠকের প্রতিবাদ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। শাহজাহান বৈঠকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন।
জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর গোপন বৈঠকের তথ্য, ছবি ও ভিডিওসহ নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের জন্য প্রস্তাবিত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আবদুর রহমান এবং তার সমর্থিত বিভিন্ন স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মালিক ও শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত বৈঠক করে শিক্ষকদের প্রভাবিত করছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। এসব বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে চাইল্ড আইডিয়ালের ২৩ জন শিক্ষক, ব্রাইট স্টার ও উদয়ন মডেল স্কুলের ১১ জন শিক্ষক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্কুলের শিক্ষক নন।
লিখিত অভিযোগে প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকদের তালিকা সংযুক্ত করেন। তারা হলেন- রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া মঙ্গলখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রহিম, পিতলগঞ্জের আবদুল হক ভূঁইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মনির হোসেন, ব্রাইট স্টার স্কুলের শিক্ষক ছালেহা আহমেদ, বড়বোরের তেতলাব আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক আবদুল কাদির। উদয়ন মডেল স্কুলের জয়নাল আবেদীন, হলি চাইল্ড আইডিয়াল স্কুলের তাইজউদ্দিন। আর নওড়া মডেল একাডেমির শাহীন আলম। এ ছাড়া তালিকায় রয়েছে সান সাইন আইডিয়াল, আল আমিন মডেল একাডেমি ও নবীন আইডিয়াল স্কুল।