জনপ্রিয় অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি ওরফে উরফি জিয়াকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে হিমুর মৃ”ত্যুর কারণ।
হিমুর আত্মহ’ত্যার ঘটনা বর্ণনা করে জিয়া দাবি করেন, ঘটনার দিন বিকেলে তিনি উত্তরায় হিমুর বাসায় যান। পরে অনলাইনে জুয়া খেলা নিয়ে হিমু ও তার মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রুমের বাইরে থেকে একটি মই এনে সিলিংফ্যান লাগানোর লোহার সঙ্গে পূর্ব থেকে বেঁধে রাখা প্লাস্টিকের রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহনন করেন।
জিয়ার দাবি, হিমু তাকে আগেও ৩-৪ বার আত্মহনন করবে বলে বলেছিল। কিন্তু পরে সে আত্মহনন করেনি। এবারও বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। তবে সত্যি সত্যিই হিমু গলায় ফাঁস দিলে তিনি হিমুকে নামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ সময় তিনি পাশের রুমে থাকা হিমুর মেকআপ আর্টিস্ট মিহিরকে ডেকে আনেন। পরে মিহির রান্নাঘর থেকে একটি বঁটি এনে রশি কেটে তাকে নিচে নামান। এর পর বাসার দারোয়ান ও মিহিরের সহায়তায় তিনি হিমুকে বাসা থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃ”ত ঘোষণা করেন।
হিমুকে মৃ”ত ঘোষণা করার পর রাফি ভিক”টিমের গাড়ি ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত বংশাল এলাকায় পালিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে আটক করে র্যাব-১।
শুক্রবার সন্ধ্যায় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
জিয়াউদ্দিন একজন টেক্সটাইল কেমিক্যাল ব্যবসায়ী। তিনি ঢাকার সূত্রাপুর এলাকার মোহাম্মদ ইকবালের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়া আরো জানান, ২০১৪ সালে জিয়া হোমায়রা হিমুর খালাতো বোনকে বিয়ে করেন। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। পারিবারিক সম্পর্কের মাধ্যমে হিমুর সাথে পরিচয় হয়। তাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। জিয়া অন্যত্র বিয়ে করলেও হিমুর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন নানাভাবে। চার মাস আগে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়মিত হিমুর বাড়িতে যেতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগ”ড়া ও বিবাদ হতো।