ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। প্রথম থেকেই তিনি অতি সততার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন। ড. হাসান মাহমুদ তার দায়িত্ব থেকে এক বিন্দুও বিচ্যুত হন না। সম্প্রতি জানা গেছে তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন বিএনপির কথাবার্তা শুনলে মনে হয় পদ্মা সেতু তাদের গলার কাঁটা।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সারাদেশের মানুষ যখন খুশি, আনন্দিত ও গর্বিত, তখন মনে হচ্ছে বিএনপির বক্তব্যে তারা ঠিক সমপরিমাণ লজ্জিত, পদ্মা সেতু তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিএনপির তথ্যমন্ত্রী রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তথ্যমন্ত্রী ড.
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠানিকতায় শুধুমাত্র ৩ হাজার মানুষকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, সেখানে আর কারো যাওয়ার সুযোগ ছিলো না এবং তাদের প্রত্যেককে করোনা টেস্ট করে সেখানে যেতে হয়েছে। আপনারা যারা সাংবাদিক, যারা অনুষ্ঠানটি কাভার করেছেন তাদেরকেও তাই করতে হয়েছে। আর এ উপলক্ষে যে জনসভা হয়েছে, সেখানে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। সেদিন যদি পদ্মা সেতু দেখার সুযোগ দেয়া হতো, সেখানে কতো মানুষ হতো সেটা আমি জানি না, তবে তাহলে মনে হয় দেশের সব মানুষ সেখানে চলে যেতো।’
ডক্টর হাসান মাহমুদ বলেন, মনে হচ্ছে বিএনপির কিছু নেতা বলেছেন যে তাদের সত্যিই মানসিক চিকিৎসা দরকার, না হলে তারা এমন কথা বলতেন না, বিশেষ করে রিজভী আহমেদের। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং আমার মনে হয় তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি তাই তিনি অসুস্থ মানুষের মতো কথা বলছিলেন। তার আরো একটু চিকিৎসা দরকার মনে হচ্ছে। ‘
বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির দাবির এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আদালত অবরোধের বক্তব্য আদালতের জন্য সরাসরি হু/মকি। আমি জানি না আদালত কীভাবে এটি বিবেচনা করবে, তবে এটি আদালতের জন্য সরাসরি হু/মকি। ‘
এর আগে তথ্য অধিদফতর এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রকাশিত ৬টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর এসময় বক্তব্য রাখেন। মুজিববর্ষে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোর ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুভিত্তিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও কবিতা নিয়ে তথ্য অধিদফতর প্রকাশিত সংকলন ‘মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মুজিব শতবর্ষ আবার আসবে না, দেড়শত বা দুইশতবর্ষ পরে আসবে। তখন আমরা অনেকেই বেঁচে থাকবো না। আমরা ভাগ্যবান যে আমরা মুজিব শতবর্ষ উদযাপন করতে পেরেছি। এই প্রকাশনার মাধ্যমে মুজিববর্ষের অনেক বিষয় সংরক্ষিত থাকবে।
‘চলচ্চিত্র সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার’, ‘তানভীর মোকাম্মেল ফিল্মসের রাষ্ট্র, পরিচয় ও প্রবাসী’, ‘চলচ্চিত্র সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার’, ‘থিয়েটারে দেখা: পাঁচ দশকের বিবর্তন’, ‘বিদেশি চলচ্চিত্র – বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সামাজিক উপস্থাপনা’। তিনি বলেন, যোগাযোগের মাধ্যমে চলচ্চিত্র সমালোচনার রূপ হিসেবে বই থেকে অনেক কিছু জানার আছে। হাসান মাহমুদ।
তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, তথ্যবহুল ও গবেষণাধর্মী এসব বই শুধু তথ্য মন্ত্রণালয় নয়, দেশের তথ্য ও চলচ্চিত্র অঙ্গনকেও সমৃদ্ধ করেছে। তিনি সবাইকে বই পড়ার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য নিয়ে এসেছে সম্পূর্ণ নতুন এক উন্নয়নমূলক অধ্যায়ের। যোগাযোগ ব্যবস্থার কতটা যে অগ্রগতি হয়েছে সেইটা সত্যিই অকল্পনীয়। পদ্মা সেতু বাংলার মানুষের জীবনকে করেছে ধন্য।